1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পোপ ফ্রান্সিস সৌদি বাদশাহর চেয়ে বেশি মুসলিম'

৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

চলমান শরণার্থী সংকটের ক্ষেত্রে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির নিষ্ক্রিয় ভূমিকার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ বিশেষ করে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশের মানবিক আচরণ আরব দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছে৷

https://p.dw.com/p/1GS86
Vatikan Papst Franziskus
ছবি: Reuters/G. Sposito

একদিকে ‘খ্রিষ্টান' ইউরোপের একের পর এক দেশের প্রশাসন ও মানুষ সিরিয়া সহ বিভিন্ন দেশের ‘মুসলিম' শরণার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে৷ এমনকি স্বয়ং পোপ ইউরোপের খ্রিষ্টানদের শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার আহ্বান জানাচ্ছেন৷ অন্যদিকে ‘মুসলিম' পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া তো দূরে থাক, তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে চরম উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছে৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া সোচ্চার হয়ে উঠেছে৷ #arabconscience ‬নামের একটি হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছে৷

টিম গেনার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন, উপসাগরীয় দেশগুলি কোথায়?

উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব রাষ্ট্রগুলির নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দায় সুর মিলিয়েছেন মার্ক ম্যাক৷

শরণার্থী সংকটের বিষয়ে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলির সরকার নির্বিকার থাকলেও সেখানকার অনেক মানুষ লজ্জা বোধ করছেন – এমন একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন জেমস গ্রিড৷

খালিদ লতিফ মনে করেন, পোপ ফ্রান্সিস তাঁর সাম্প্রতিক ভূমিকার কারণে সৌদি আরবের বাদশাহর থেকেও বেশি ‘মুসলিম'৷

এক টুইটার ব্যবহারকারী ক্ষোভ উগরে দিয়ে লিখেছেন, সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলির নেতারা এমন মুসলিম, যাদের উপর ইসলামের বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই৷

দিনুক্ষি কীর্তিসিংহে লিখেছেন, ‘‘তোমার ধর্ম তোমাকে এই শিক্ষা দিয়েছে? প্রয়োজনে মুসলিম ভাইকে সাহায্য করবে না?''

শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবরিনা মালিক পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক ও লেবাননের মতো মুসলিম দেশের ইতিবাচক ভূমিকার উল্লেখ করে উপসাগরীয় দেশগুলির ধর্মীয় দায়িত্বের প্রশ্ন তুলেছেন৷

কারেন সুগার এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, সৌদি আরব আপাতত অ্যামেরিকার সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনতে ব্যস্ত৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য