খুশি নয়ার
২ নভেম্বর ২০১৩হাইনকেস বায়ার্নে তাঁর দায়িত্ব শেষ করেন ক্লাবকে ত্রিমুকুটজয়ী করে৷ প্রবীণ হাইনকেসের জায়গায় আসেন নবীন গুয়ার্দিওলা, যার তাঁবে বার্সেলোনা মাত্র চার বছরে ১৪টি ট্রফি জিতেছে৷ বার্সেলোনা শুধু গুয়ার্দিওলার সাবেক ক্লাবই নয়, বার্সার সুবিখ্যাত টিকিটাকা শর্টপাসের খেলা গুয়ার্দিওলার রক্তে৷ মিউনিখে এসেই যে তিনি সব কিছুর খোলনলচে বদলে ফেলেছেন, এমন নয়৷ হয়তো সেটা তাঁর কাম্যও নয়৷ তবে ‘বল পজেশন', অর্থাৎ বলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা – এটা পূর্বাপর পেপ গুয়ার্দিওলার ফুটবল দর্শনের মূল সূত্র৷ ঠিক সেই কথাই বলেছেন মানুয়েল নয়ার৷
‘‘গুয়ার্দিওলার তত্ত্বাবধানে আমরা সামনে লং বল দেওয়ার পরিবর্তে বলটাকে আরো নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলার চেষ্টা করছি,'' মঙ্গলবার ‘স্পোর্ট বিল্ড' পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন মানুয়েল নয়ার৷ ‘‘গত মরসুমে আমরা প্রায়ই নিরাপদভাবে খেলার চেষ্টা করেছি, একেবারে সামনে থাকা স্ট্রাইকারকে (অর্থাৎ মারিও মাঞ্চুকিচ'কে) লম্বা, উঁচু বল দেওয়ার চেষ্টা করেছি৷ এখন আমরা বলটাকে খেলে সামনে নিয়ে যাই৷''
এর ফলে নয়ারের নিজের ভূমিকার কিছু হেরফের হয়েছে: ‘‘প্লেয়াররা আগের চেয়ে বেশি আমার খোঁজে থাকে৷ আমিও কোনো মুভ শুরু করায় অংশ নিতে পারি৷ আমার পক্ষে সেটা ভালো কেননা আমি খেলায় আরো বেশি সংশ্লিষ্ট থাকি৷'' ২৭ বছর বয়সি নয়ার বুন্ডেসলিগার চলতি মরসুমের ১০টি খেলায় মাত্র ছ'টি গোল খেয়েছেন৷ চ্যাম্পিয়নস লিগের তিনটি খেলায় বিপক্ষ তাঁকে মাত্র একবার পরাজিত করতে পেরেছে৷
সেই নয়ার এবার হাইনকেস ও গুয়ার্দিওলার ফুটবল শৈলীর মধ্যে বুনিয়াদি তফাৎটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন৷ সাধে কি লোকে বলে: খেলার আমি খেলার তুমি তাই দিয়ে যায় চেনা৷
এসি/জেডএইচ (রয়টার্স)