পৃথিবী কি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে?
১২ সেপ্টেম্বর ২০০৮বুধবার সুইস-ফরাসী সীমান্তে ইউরোপীয় পরমাণু গবেষণা সংস্থা, অর্থাত্ 'ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ' বা CERN-এর বিজ্ঞানীরা কণার রশ্মি ভাঙার মেগাযন্ত্রে সাফল্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে এসেছে এ প্রশ্ন৷
না৷ বলেছেন বিজ্ঞান সাংবাদিক পথিক গুহ সহ বিশ্বের নানা বিজ্ঞানী৷ তাঁদের মতে, এই মহাপরীক্ষার ফলে বিজ্ঞানের ইতিহাসে জেগে উঠল এক নতুন মাইলফলক৷ কারণ এর মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য জানতে, বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর মুহূর্তের খোঁজ শুরু করলেন বিশ্বের প্রায় ১০ হাজার পদার্থবিজ্ঞানী৷ এদিন জেনিভার অদূরে ভূগর্ভের প্রায় ১৭৫ মিটার নীচে চালু হল বিশ্বের সবচেয়ে জটিল একটি যন্ত্র৷ যন্ত্রটির নাম লার্জ হেড্রন কোলাইডার বা LHC৷ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল যন্ত্র৷ যার লক্ষ্য বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অজানা তথ্য খুঁজে বের করা৷
আসলে, ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির পর মুহূর্তটাকে ঘিরে এখনো একটি ধাঁধা রয়ে গেছে৷ যদিও এটা পরিস্কার যে, ঐ সৃষ্টি রহস্যের জট খুলতে পারে একটি মাত্র কণা৷ বলা হয়, পদার্থ কীভাবে ভর অর্জন করে - এই রহস্যের জবাব দিতে বৃটিশ পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর পিটার হিগস ১৯৬৪ সালে হিগস বোসন নামে অভিহিত এক তাত্ত্বিক কণার অস্তিত্বের কথা জানান৷ যে কণা বর্তমানে গড পার্টিকেল বা ঈশ্বর কণা বোসন নামে পরিচিত৷
হিগস-এর মতে, এই কণাই পদার্থকে তার ভর দেয়৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত কণাটিকে কখনও চাক্ষুষ করা সম্ভব হয় নি৷ সে জন্য, প্রোটন দুটির সংঘর্ষ ঘটিয়ে ঐ জায়গাটাই, অর্থাত্ ঐ কণাটিরই সন্ধান পেতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা৷
কিন্তু, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর? পৃথিবীকে যার গ্রাস করার কথা ? প্রোটন কণার পরীক্ষামূলক সংঘর্ষের পর, আগামী ২১শে অক্টোবরের সম্ভাব্য মহাবিস্ফোরণের প্রচন্ড ধাক্কায় যদি সত্যিই শিহরিত হয় বিশ্ববাসী ?