1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ, নিহত ২

১৮ ডিসেম্বর ২০১১

ঢাকা এবং সিলেটে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে রবিবার দু’জন নিহত হয়েছেন৷ এই ঘটনায় পুলিশের গাড়িসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13V5e
ফাইল ফটোছবি: AP

বিএনপি দাবি করেছে, সরকার পরিকল্পিতভাবে তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে৷

ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়নে আজ বিকালে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান থাকলেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয় সকাল সাতটা থেকেই৷ বিএনপি দাবী করছে তাদের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির নেতা- কর্মীরা সকালে তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করতে চাইলে তারা বাধা দেয়৷

সকাল নয়টার দিকে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উল্টো দিকে ঘরোয়া হোটেলে সামনে ককটেল বিস্ফোরণে আরিফুজ্জামান নামে এক যুকক নিহত হন৷ এই ঘটনায় আহত দু'জন প্রত্যক্ষদর্শী সালেহ আহমেদ ও জাহাঙ্গির আলম জানান, তারা বুঝতে পারেননি কিভাবে কি হল৷ এদিকে রাবের পরিচালক লে. কর্ণেল রফিকুল ইসলাম দাবী করেন, নিহত যুবকের কাছেই বোমা ছিল৷

এই ঘটনার পর মতিঝিল থেকে নয়াপল্টন, শান্তিনগর, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, উত্তরা ও পোস্তাগোলা এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷ রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়৷ বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ১০ টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়, করা হয় ভাংচুর৷ পুলিশ ও রাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে৷ পুলিশ এই ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে৷ এদিকে ঢাকার ঘটনার পর দুপুরে সিটেলের দক্ষিন সুরমা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলে একজন যাত্রী পুড়ে মারা যান৷ ঝলসে যাওয়ায় তার চেহারা শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷ পুলিশের দাবী বিএনপির নেতাকর্মীরা হঠাৎই বাস থামিয়ে আগুন দেয়৷ এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা সিলেটে বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করে৷ এছাড়া বগুড়া, সিরাজগঞ্জ এবং ফরিদপুরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর দাবী করেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করতে এই হামলা চালায়৷ তবে বিকেলের অনুষ্ঠানের জন্য বিএনিপর নেতা-কর্মীরা কেন সকালে মাঠে নেমেছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন তারা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই মাঠে ছিলেন৷ তিনি ঢাকায় নিহত আরিফকে তাদের দলীয় কর্মী বলে দাবী করেন৷ আর ককটেল বিস্ফোরনে নিহত হলেও ফখরুলের দাবী আরিফ গুলিতে নিহত হয়েছেন৷ তবে নিহত আরিফের স্বজনরা জানিয়েছেন তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত৷ আরিফের লাশ দেখতে গিয়ে তার দুই বোন হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷ এইসময় তারা জানান, আরিফ ডিশ ব্যবসা করত৷

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এই পরিস্থিতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন৷ তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় এসব করা হচ্ছে৷

অন্যদিকে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়নে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে৷ বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য