পাশবিক হামলায় নিহতদের স্মরণে নরওয়েবাসীদের এক মিনিট নীরবতা
২৫ জুলাই ২০১১পুলিশ নিহতদের সংশোধিত সংখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন যে, গত শুক্রবার জোড়া হামলায় ৭৬ জন প্রাণ হারান৷ প্রসিকিউটাররা চান, শুনানির সময় বাইরের কেউ এবং সাংবাদিকদের কেউ যেন না থাকে৷ ৩২ বছর বয়সি ব্রেইভিকের বিরুদ্ধে শুক্রবারে অসলোতে জোড়া হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ঐ দিন ওসলোর সরকারি প্রশাসনিক এলাকায় বোমা হামলায় অন্তত ৮ জন প্রাণ হারায়, আর কাছাকাছি উটোয়য়া দ্বীপে গুলি বর্ষণে প্রাণ হারায় অন্তত ৬৮ জন৷ হামলার কয়েক ঘন্টা আগে ইন্টারনেটে প্রায় ১৫'শ পাতার একটি ঘোষণাপত্র ছাড়ে ব্রেইভিক৷ ঘোষণাপত্রে তার উগ্র দক্ষিণপন্থি ভাবনা, সমাজিক গণতন্ত্রী, বামপন্থি, বিদেশি ও মুসলিম বিরোধী ধ্যানধারণার প্রকাশ ঘটেছে৷
নরওয়ের সরকারী আইনজীবীরা গত সপ্তাহের হামলার জন্যে সন্দেহভাজনকে বিশেষ অতিরিক্ত সময় ৮ সপ্তাহের জন্যে আটক রাখার প্রার্থনা জানাবেন সোমবারে৷ আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আইনজীবী ক্রিস্টিয়ান হাটলো অ্যান্ডার্স বেরিং ব্রেইভিককে আট সপ্তাহ আটক রাখার আবেদন জানাচ্ছেন আদালতে৷'' বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রুদ্ধদ্বার শুনানির জন্যেও আইনজীবী আবেদন জানিয়েছেন৷ সেই আবেদন মেনে নিয়েছেন আদালত কর্তৃপক্ষ৷
নরওয়েতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখার সর্বোচ্চ মেয়াদ সাধারণত চার সপ্তাহ কিন্তু পুলিশের মুখপাত্র বিওলা জেলাণ্ড বলেছেন, হামলার ঐ ঘটনার প্রকৃতি এতোটাই অস্বাভাবিক যে, এক্ষেত্রে সন্দেহভাজনকে আটক রাখার সময় দ্বিগুন করা যেতে পারে৷ বোমা এবং গুলিবর্ষণের জোড়া হামলায় এখন পর্যন্ত ব্রেইভিকই একমাত্র সন্দেহভাজন৷
ওদিকে সেমবারে এক প্রতিবেদনে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ব্রেইভিক বলেছে, ঐ হামলায় সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রো হারলেম ব্রুন্ডটল্যান্ডকেও হত্যা করতে চেয়েছিল৷ ব্রেইভিক জানায়, হামলার দিন বিকেলে দ্বীপে বক্তব্য রাখার সময়ে ব্রুন্ডটল্যান্ডকে হত্যা করার ইচ্ছে ছিল তার৷ ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে তিনদফা প্রদানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ব্রুন্ডটল্যান্ড৷
এদিকে অসলোর রাজকীয় আদালত বলছে, ক্রাউন প্রিন্সেস মিটে-ম্যারিটের সৎ ভাইও উটোয়য়া দ্বীপের হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন৷
প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক