1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারিবারিক ছবি তোলার ত্রিমাত্রিক স্টুডিও

ক্রিস্টিন শুমান/এআই১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

পারিবারিক ছবি বলতে ফ্রেমে বাঁধানো শক্ত কাগজে ছাপা ছবিই সম্ভবত মনে করবেন সবাই৷ কিন্তু এখন এই পারিবারিক ছবির সংজ্ঞা বদলে দিতে চলেছেন দুই জার্মান৷ তাঁরা চালু করেছেন, পারিবারিক ছবি তোলার একটি ত্রিমাত্রিক স্টুডিও৷

https://p.dw.com/p/1B8Pm
3D Drucker
ছবি: AP

প্রতিকৃতিগুলো ১৫ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা, তৈরিতে খরচ ২২৫ থেকে ১,৩০০ ইউরো পর্যন্ত৷ এতে নিখুঁতভাবে থাকে সবকিছু৷ জিন্স প্যান্টের ভাঁজ থেকে শুরু করে স্কার্ফের রং অবধি সবকিছু৷ এ ধরনের প্রতিকৃতি তৈরির পদ্ধতি ঠিক করতে এক বছর সময় নিয়েছেন টিমো শ্যাডেল৷ তিনি বলেন, ‘‘মূলত ভবিষ্যতের পারিবারিক ছবির কথা চিন্তা করে এই ধারণা তৈরি করা হয়েছে৷ আমরা ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা যোগ করে আলোকচিত্রের বিচিত্র দুনিয়াকে আরো সমৃদ্ধ করছি৷ এটা এক নতুন দিক৷''

ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতি তৈরির জন্য টিমো শ্যাডেল এবং তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ক্রিস্টিনা নয়রো বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতি যাচাই করেছেন৷ সব শেষে একটি কার্যকর পন্থা বেছে নিয়েছেন তাঁরা৷ গত বছরের জুন মাসে তাঁরা চালু করেছেন নিজেদের প্রতিষ্ঠান, নাম ‘টুইনকিন্ড৷' এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অতীতে অ্যানিমেশন সেক্টরে কাজ করায় ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা রয়েছে আমার৷ আর ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার ব্যবহারের সুযোগ আমাকে উৎসাহিত করেছে৷ এরপর আমি বহুরঙা প্রযুক্তির খোঁজ পাই৷ তখন এই আইডিয়া মাথায় আসে৷''

ইউরোম্যাক্স মডারেটর ক্রিস্টিনা স্ট্যার্জ ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখতে ‘টুইনকিন্ডে' যান৷ পরিচয় পর্বের পর টিমো শ্যাডেল খদ্দেরের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চান এবং কাজের ধরণ সম্পর্কে জানান৷

এরপর শুরু হয় ছবি তোলার কাজ৷ স্ক্যান রুমে রয়েছে একশো ক্যামেরা৷ এগুলো ব্যবহার করে সম্ভাব্য সব অ্যাঙ্গেল থেকে খদ্দেরের ছবি তোলা হয়৷ টিমো শ্যাডেল বলেন, ‘‘আপনি কোন ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তবে এই অ্যাঙ্গেলে তাকালে চোখ সুন্দরভাবে খোলা থাকে৷''

ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলোকে ত্রিমাত্রিক মডেলের রূপ দেয় বিশেষ সফটওয়্যার৷ এক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে৷ হামবুর্গের ছেলে টিমো শ্যাডেল এই প্রক্রিয়াকে বলেন ‘ডিজিটাল হস্তশিল্প৷' তাঁর লক্ষ্য থাকে ব্যক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রতিকৃতির মধ্যে ফুটিয়ে তোলার৷

ছবি গড়ার এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রিন্টিং৷ পাউডার বেড থ্রিডি প্রিন্টার মূলত ইন্কজেট প্রিন্টারের মতোই কাজ করে৷ তবে কালির বদলে এতে প্লাস্টিক পাউডার ব্যবহার করা হয়৷

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর অতিরিক্ত পাউডারগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে সরিয়ে ফেলা হয়৷ আর তখনই বেরিয়ে আসে ছোট ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতি৷

এরপর বার্নিশের মতো এক ধরনের তরলের সামান্য ছোঁয়া প্রতিকৃতির রং এবং খুঁটিনাটি আরো ফুটিয়ে তোলে৷ ব্যবসায়িক অংশীদাররা এখনো পুরো প্রক্রিয়ার আরো উন্নয়নে কাজ করছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য