পাতানো খেলার দৌরাত্ম্য বন্ধে দক্ষিণ কোরিয়া
১৩ জুন ২০১১স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কে লিগের ১০ জন খেলোয়াড়কে পাতানো খেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করার হয়৷ এতে লজ্জাকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে কে-লিগ কর্তৃপক্ষ৷ আর তারপর থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা৷ পাতানো খেলার স্বীকারোক্তির জন্য খোলোয়াড়দের উৎসাহিত করা হচ্ছে ‘ছাড় সংক্রান্ত আপোষ' এর মাধ্যমে৷
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের ‘ছাড় সংক্রান্ত আপোষ' এর আজই ছিল শেষ দিন৷ কিন্তু কে-লিগ কর্তৃপক্ষ এই সময়সীমা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন৷ কে-লিগ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘ পাতানো খেলার এই সমস্ত তথ্য গোপন রাখা হবে বলে আমরা খেলোয়াড়দের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি৷ সুতরাং আমরা বলতে পারব না কতজন খেলোয়াড় এই ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে৷ যদিও এটা পর্যাপ্ত নয়, কিন্তু দিনদিন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে৷ অনেকেই এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন৷''
এর আগে গ্রেপ্তারকৃত ১০ ফুটবলারকে সারাজীবনের জন্য খেলা থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং সাত বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া হয়৷ তাছাড়া খেলোয়াড়দের একজনকে গতমাসে হোটেল কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ বার্তা সংস্থাটি জানায়, ঐ খেলোয়াড় আত্মহত্যা করার আগে যে নোট লিখেছিলেন সেখান থেকে পাতানো খেলার বিষয়টি উঠে আসে৷
এরপর কে-লিগ খেলোয়াড়দের নির্দেশ দেন, পাতানো খেলার সঙ্গে এরই মধ্যে যারা জড়িত হয়ে পড়েছে লিগ'কে সে বিষয়ে জানাতে৷ আর বিনিময়ে কমানো হবে তাদের শাস্তির পরিমাণ৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী