পাকিস্তানে মুক্তি পেলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক
৯ সেপ্টেম্বর ২০১০পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আসাদ কুরেশি, ব্রিটেনের ‘চ্যানেল ফোর' টেলিভিশন স্টেশনের জন্যে পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জঙ্গিবাদ নিয়ে একটি ছবি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ লন্ডনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আসাদ কুরেশি মুক্তি পেয়েছেন এবং পাকিস্তানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কনসুলার স্টাফরা তাঁকে সহায়তা দিচ্ছেন৷''
একদিকে পাকিস্তানের বন্যা দুর্গত মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে লড়াই করছে, তখন প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটছে৷ বৃহস্পতিবারও পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটার প্রাদেশিক মন্ত্রীর বাড়ির কাছে এক বোমা হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন৷ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হামিদ শাকিল বলেছেন, ‘‘মন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি বাহনের নিচে বোমাটি লাগিয়ে রাখা হয়েছিল৷'' কোয়েটার পুলিশ প্রধান আবিদ হুসেন নাউটকানি বালুচিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রী আসিম কূর্দ ঘিলোর বাড়ির কাছে বোমা হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন৷
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে ব্যর্থ গাড়ি বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাকিস্তান পুলিশ ইসলামাবাদ থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই সপ্তাহ আগে৷ তাদেরকে এরই মধ্যে কয়েকদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ ইসলামাবাদের অপারেশন পুলিশ প্রধান বানি আমিন বলেছেন, ঐ ব্যর্থ বোমা হামলার অভিযোগে নিউ ইয়র্কে গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল শাহজাদের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত এই ৩ জনের যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এবং তারা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে টাকাও পাঠিয়েছিল৷
বানি আমিন এএফপিকে বলেন, ‘‘আজ আমরা তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করেছি৷ ঐ তিন সন্দেহভাজনের নাম শোয়েব মুঘল, মোহাম্মদ শহিদ, এবং হানবার আক্তার৷ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্তুষ্ট'৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, পাকিস্তান থেকে ফয়সাল শাহজাদ সাহায্য পেয়েছে এবং আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই ব্যাপারে কাজ করেছি৷
বানি আমিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের সঙ্গে তারিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ এবং ক্বারি হুসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ এই সংগঠনটিই ১-লা মে টাইম স্কোয়ারে বোমা হামলার পরিকল্পনার দায়িত্ব স্বীকার করেছে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন