টাইগার সমর্থকরা হতাশ
৫ জুলাই ২০১৯তবে পরাজয়ের চেয়েও হারের ধরনে তাঁরা বেশি হতাশ হয়েছেন৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা দাবি করেন, শুক্রবারের ম্যাচে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোযোগ কম দেখা গেছে৷ তাঁদের শারীরিক ভাষায় জেতার মানসিকতা ছিল না বলে মনে করছেন লর্ডসে উপস্থিত কয়েকজন দর্শক৷ দুটি ক্যাচ মিস ছাড়াও বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে কয়েকটি বাউন্ডারি হয়েছে বলে জানান সমর্থকরা৷
এছাড়া সেমিফাইনালে উঠতে না পারার কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেন সমর্থকরা৷ তাঁরা বলছেন, পেস বোলাররা এবার ভালো করতে পারেননি৷ ভবিষ্যতের জন্য পেসার খোঁজায় আরও মনোযোগ দিতে ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন কয়েকজন সমর্থক৷
এছাড়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ও সৌম্যর বড় স্কোর না করতে পারা, অতিরিক্ত সাকিব নির্ভরতা, প্রয়োজনের সময় বড় জুটি গড়ে না ওঠা, আট ম্যাচে মাশরাফির মাত্র এক উইকেট পাওয়া ইত্যাদিও সেমিফাইনালে যেতে না পারার কারণ বলে মনে করছেন সমর্থকরা৷
অনার্স বোর্ডে মুস্তাফিজ
লর্ডসে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান৷ সেমিফাইনালে যেতে তাদের বাংলাদেশকে কমপক্ষে ৩১৬ রানের ব্যবধানে হারাতে হতো৷ তবে ইমামের ১০০ ও দু'বার প্রাণ পাওয়া বাবর আজমের ৯৬ রানের সুবাদে পাকিস্তান ৩১৫ রান সংগ্রহ করে৷
মুস্তাফিজ পাঁচ উইকেট নেন৷ ফলে লর্ডসের সম্মানজনক অনার্স বোর্ডে নাম উঠে গেছে তাঁর৷ এর আগে ২০১০ সালে এক টেস্টে শতক করায় তামিম ও পাঁচ উইকেট পাওয়ায় শাহাদাতের নাম ঐ বোর্ডে উঠেছিল৷
সাকিবের বিশ্বকাপ
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ সাকিব সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন৷ ফলে সবমিলিয়ে আট ম্যাচে ৬০৬ রান করেন তিনি৷ এর মধ্যে সাত ইনিংসেই ৫০-এর বেশি রান করেছেন তিনি৷ এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার সাত ইনিংসে ৫০-এর বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন৷ এবার সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব৷ তাও আবার শচীনের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলে!
এছাড়া বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান করা শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের তালিকায়ও সাকিব ঢুকে পড়েছেন৷ চার বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলে তিনি মোট ১,১৪৬ রান করেছেন৷ ফলে তালিকায় সাকিবের নাম থাকছে নয় নম্বরে৷ এই তালিকায় শীর্ষে আছেন শচীন৷ তিনি মোট ৪৫ ম্যাচ খেলে ২,২৭৮ রান সংগ্রহ করেছেন৷