পশ্চিম তীরে বসতি উচ্ছেদ ও লেবাননে বিমান হামলা

ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে হেবরনের কাছে অবস্থিত ফিলিস্তিনিদের বসতি ভারি যন্ত্র দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল৷

এসময় নিরাপত্তার জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয় সীমান্ত পুলিশের সদস্যদের৷

এক পর্যায়ে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়৷ ছবিতে ইসরায়েলের বাহিনীর হাতে আটক এক ফিলিস্তিনিকে দেখা যাচ্ছে৷

বসতি উচ্ছেদ ও তার জের ধরে চলছিল সংঘাত৷ ছবিতে ফিলিস্তিনের এক নারীকে ইসরায়েলে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে৷

সংঘাত চলাকালে ফিলিস্তিনিদের দিকে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের এক সদস্যকে সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে৷

বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷

সংঘাত চলাকালে ফিলিস্তিনিদের দিকে অস্ত্র তাক করে সতর্ক অবস্থানে ইসরায়েলের দুই পুলিশ সদস্য৷

বুধবার প্রতিবেশি লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে৷ দুইটি রকেটই উন্মুক্ত স্থানে পড়ে৷ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোন পক্ষ৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে রকেট ছোঁড়া হয়েছিল ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ লেবানন থেকে৷

এই ঘটনার পর প্রথমে ভূমি থেকে লেবাননে গোলা ছোঁড়ে ইসরায়েল৷ এরপর ‘রকেট হামলার স্থান ও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা’ চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী৷ ছবিতে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর গাড়ি বহর দেখা যাচ্ছে৷

ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি বলে দাবি করেছে হেজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত আল-মানার টেলিভিশন৷ লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এই হামলাকে তার দেশের প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসী মনোভাব হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ তিনি একে লেবাননের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি সরাসরি হুমকি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজ্যুলেশনের বরখেলাপ বলেও টুইটে উল্লেখ করেন৷