পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর৷ এর আগের সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ৷
সেমিফাইনালের আগেই বিদায়
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়৷ এরপর আটবার এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বাংলাদেশ সবকটিতে অংশ নিলেও কখনও সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি৷
একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান
তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২০১৬ সালের আসরে৷ প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি৷
৫ উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশি বোলার মোস্তাফিজুর রহমান৷ ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন বাঁ-হাতি এই পেসার৷
মোট জয়
আট আসরে ৩৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯টিতে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ৷
দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি
২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেছিলেন৷
সাকিবের যত রেকর্ড
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি হাফসেঞ্চুরি, সবচেয়ে বেশি ক্যাচ (১০টি, রিয়াদও ১০টি ক্যাচ ধরেছেন), এক আসরে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট (২০২১ সালে ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন), সবচেয়ে বেশি ছক্কা (২৩টি), সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা (৩৬টি), সবচেয়ে বেশি উইকেট (৪৭টি) এবং বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (৩৬ ম্যাচে ৭৪২ রান)-এর রেকর্ড সাকিবের৷
জয়ের হারে সবার নিচে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত ১০ ম্যাচ খেলা ১৫ দলের মধ্যে জয়ের হারে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে৷ তারা জিতেছে শতকরা ২৪.৩২ ভাগ ম্যাচ৷ তাদের ঠিক ওপরে আছে স্কটল্যান্ড৷ ১৮ ম্যাচের পাঁচটিতে জেতায় স্কটিশদের জয়ের হার ২৯.৪১ শতাংশ৷ ৪৪ ম্যাচের ২৭টিতে জিতে শতকরা ৬৩.৯৫ ভাগ জয়ের হার নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত৷
সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ৷ আর কোনো দল অন্তত ২০ বা এর চেয়ে বেশি ম্যাচে হারেনি৷ বাংলাদেশের পরের অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা হেরেছে ১৯টি করে ম্যাচ৷
১০০ রানের নিচে পাঁচবার আউট
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট পাঁচবার একশ ছোঁয়ার আগেই অলআউট হয়েছে৷ সর্বনিম্ন ৭০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ২০১৬ সালের আসরে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে৷
সবচেয়ে বড় জুটি
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুরে সাকিব ও মুশফিক তৃতীয় উইকেটে ১১২ রান যোগ করেছিলেন৷ এটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি৷ এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শতরানের জুটি আছে আর একটি৷ ২০০৭ সালে আশরাফুল ও আফতাব আহমেদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ১০৯ রান যোগ করেছিলেন৷
দলীয় সর্বোচ্চ রান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনও দলীয় পুঁজি দুইশ পর্যন্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ৷ ২০২১ সালে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বাংলাদেশ ৭ উইকেট খুইয়ে ১৮১ রান তারা তুলেছিল, যা এখন পর্যন্ত এই আসরে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান৷