পরিবেশ রক্ষায় ইসলাম ধর্ম!
২৩ জুন ২০১৮প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে বারবার ব্যবহার করা যায়, এমন ব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ দেন ধর্মীয় নেতারা৷
ইন্দোনেশিয়ার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ সংগঠন গ্রিনপিসের সঙ্গে তিনটি ইসলামি সংগঠন এই প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়৷
মন্ত্রণালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরিচালক রোসা ভিভিয়েন রত্নাওয়াতি জানান, ইন্দোনেশিয়ায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে৷ জানা গেছে, দেশটির একজন নাগরিক বছরে গড়ে ১৭ কিলোগ্রামের সমপরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেন৷ ফলে বছরে গড়ে ১৮৭ দশমিক ২ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে গিয়ে মেশে৷
এর আগে ২০১৪ সালে দেশটির উলেমা পরিষদ বিপন্ন প্রাণি হত্যা না করতে একটি ফতোয়া জারি করেছিল৷ এছাড়া ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফর ইকোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস' এর উদ্যোগে ইন্দোনেশিয়ার স্কুলগুলোতে গাছ লাগানো কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল৷
ইন্দোনেশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজিয়াস স্টাডিজের অধ্যাপক জয়নুল বাহরি বলেন, ইসলাম ধর্মে পরিবেশ রক্ষার উপর জোর দেয়া হয়েছে৷ ‘‘পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য আল্লাহ মানুষকে দায়ী করেন,'' জানান তিনি৷
সচেতনতা তৈরিতে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বাহরি৷ তবে এক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদের কারিগরি জ্ঞান বাড়াতে পরিবেশবাদী সংগঠনের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি৷ ‘‘প্রকৃতি কীভাবে কাজ করে, ইকোসিস্টেমকে কীভাবে রক্ষা করা যায় – এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত জ্ঞান অনেক ইমামের নেই,'' বলেন রিলিজিয়াস স্টাডিজের অধ্যাপক বাহরি৷
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও অন্যান্য দেশে পরিবেশ রক্ষায় ধর্মের ব্যবহার হয়েছে৷ যেমন, ২০০৮ সালে ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের অনুসারী সংস্থা ‘দ্য অ্যালায়েন্স ফর রিলিজিয়ন্স অ্যান্ড কনজারভেশন' তাঞ্জানিয়ার পেম্বা দ্বীপের জেলেদের নিয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে৷ এক্ষেত্রে স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের সহায়তা নেয়া হয়েছিল৷ প্রকল্পের আওতায়, মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিস্ফোরক ব্যবহার না করতে জেলেদের আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ পরবর্তীতে এক জেলে ‘দ্য ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর'কে জানিয়েছিলেন, ‘‘পরিবেশ রক্ষার পরিকল্পনা পশ্চিম থেকে আসেনি৷ এটা এসেছে কোরান থেকে৷''
রিসকি নুগ্রাহা, আয়ু পূর্বানিংসিহ/জেডএইচ
পরিবেশ রক্ষায় ইসলাম ধর্ম কি সত্যিই কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে? লিখুন নীচের ঘরে৷