পরিবহন ধর্মঘটে নাকাল কলকাতা
২৪ জুলাই ২০০৯প্রায় একবছর আগেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ১৫ বছর বা তার বেশি পুরনো যন্ত্রচালিত যান, যেগুলি মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়ায়, সেগুলিকে বাতিল করতে হবে৷ পরের এক বছরে বাস, ট্যাক্সি, ট্রাক ও লরিমালিকদের দিক থেকে এ ব্যাপারে যেমন এক ধরণের অনিচ্ছা কাজ করেছে, অন্যদিকে সরকারের দিকেও বিস্ময়কর এক নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়েছে৷ যার পরিণতি, আদালত নির্দেশিত ৩১ জুলাইয়ের সময়সীমা একেবারে ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছে৷ এবং সময় কম, এই যুক্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতায় শুক্রবার একদিনের ধর্মঘটে সামিল হলেন বেসরকারি বাস, মিনিবাস, লরি, ট্রাক ও ট্যাক্সি মালিক ও কর্মচারীরা৷ ফলে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যত্রও দিনভর নাকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা৷ সরকারি বাস যথেষ্ট সংখ্যায় থাকার প্রতিশ্রুতি থাকলেও যথারীতি সেই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হল রাজ্য পরিবহণ দফতর৷ পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী যদিও এদিন দাবি করেছেন যে বাসমালিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে৷ ধর্মঘট শনিবারই উঠে যাবে৷ কিন্তু অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, লাগাতার পরিবহণ ধর্মঘটের কথা ভাবছে ইউনিয়নগুলি৷ বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের তরফ থেকে এদিনও হাইকোর্টে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়৷ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও নাকি ভাবছেন বাস ও ট্রাকমালিকরা৷ ফলে দূষণমুক্তির সম্ভাবনা তো নেইই, বরং ধর্মঘট আরও জোরদার হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে৷
প্রতিবেদক: শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার