নতুন করে ডিএনএ সংগ্রহ!
২৩ এপ্রিল ২০১৪
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় অজ্ঞাত ২৯৪ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ডিএনও পরীক্ষায় মাত্র ২০৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে৷ বাকি ৮৭ জনের মৃতদেহের পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ জাতীয় ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, রানা প্লাজা ধসে নিহত অজ্ঞাত মৃতদেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির পর লাশ শনাক্ত করতে ৫৪১টি পরিবার থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ তাদের সঙ্গে মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০৭টি লাশ শনাক্ত করা গেছে৷
তিনি জানান, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত ১,১৩৪ জনের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই ৮০০-এর বেশি লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ এ সব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশনাক্ত লাশগুলোর ডিএনএ মিলে যেতে পারে৷ তাই তাঁরা সরকারকে আরো আত্মীয়স্বজন যদি আগ্রহী হয়, তবে তাঁদেরও ডিএনএ পরীক্ষা করানোরও সুপারিশ করেছেন৷
শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফয়জুর রহমান জানান, এই পরিস্থিতিতে জাতীয় ডিএনএ পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষের পরামর্শে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো অজ্ঞাত ৮৭ জনের জন্য নতুন করে নমুনা চাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার৷ এ ব্যাপারে অল্প দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে৷ সংবাদমাধ্যমে দেয়া হবে গণবিজ্ঞপ্তি৷
ফয়জুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই যাঁদের মৃতদেহ, কাপড়, অলংকার বা অন্য কোনো নমুনা দেখে শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাতেও ভুল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ডিএনএ পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ মনে করছেন৷ তাঁরা ঐসব মৃতদেহ এবং তাঁদের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে তাও পরীক্ষা করার সুপারিশ করেছে৷
গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ এবং আগের হস্তান্তর করা মৃতদেহ ও তাঁদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে, তা বাকি ৮৭টি মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে সহায়তা করবে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়ও৷
ডিএনএ পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ তাঁদের সুপারিশে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করতে দেশের সব গার্মেন্টস শিল্পের কর্মীদের ডিএনও নমুনা সংগ্রহ করে একটি ‘ডাটাবেজ' প্রস্তুত রাখার কথাও বলেছে৷