নাগরিক অধিকার চান যৌনকর্মীরা
২৪ জানুয়ারি ২০১৭ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইভান আহমেদ কথা পতিতালয় উচ্ছেদ ও যৌনকর্মীদের প্রতি সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতা নিয়েও মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা যৌনপল্লিতে গিয়ে যৌনকর্মীদের বলেন, আপা আপনাদের আমার ভালো লাগে, আপনারা আমাকে ভোটটা দিয়েন৷’’ কিন্তু নির্বাচন শেষে দেখা যায়, যে প্রার্থী জেতেন তিনি যৌনকর্মীদের দেয়া সব অঙ্গীকার ভুলে যান৷
গত বছর যৌনকর্মীদের অধিকার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক গণশুনানির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আহমেদ কথা বলেন, ‘‘সেই সময় সরকারি কর্মকর্তারা সামনাসামনি হাই, হ্যালো করেছেন ঠিকই৷ কিন্তু আসল কাজের সময় তাঁরা সবকিছু অস্পস্ট রাখেন৷’’
আহমেদ কথা জানান, ‘সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক’ হচ্ছে যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ২৯টি সংগঠনের একটি নেটওয়ার্ক৷ যৌনকর্মীরা কোনো বিপদে পড়লে প্রথম সংগঠনগুলো তা মোকাবিলার চেষ্টা করে৷ সেটা সম্ভব না হলে তখন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক৷
কথা বলেন, যৌনকর্মীরা যদি পরিচয়পত্রে পেশার জায়গায় ‘যৌনকর্মী’ লিখতে পারেন তাহলে নাগরিক হিসেবে তাঁদের ক্ষমতা বাড়বে৷ ফলে অধিকার আদায়ে আরেকটু শক্তিশালীভাবে দাবি জানানো যাবে বলে মনে করেন তিনি৷
ইভান আহমেদ কথা, যিনি হিজড়াদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সচেতন শিল্পী সংঘ’-এর প্রেসিডেন্ট, তিনি বলেন, প্রভাবশালী লোকদের অনেকের চোখ রয়েছে পতিতালয়গুলোর উপর৷ তাঁরা সেখান থেকে পতিতাদের সরিয়ে দিয়ে জায়গা দখল করতে চান৷ ‘‘কেউ চান শপিং মল করতে, কেউ চান অ্যাপার্টমেন্ট গড়তে,’’ বলেন কথা৷ সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এ সব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয় বলে জানান তিনি৷
এছাড়া যৌনকর্মীদের সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা, রাস্তাঘাটে কোনো যৌনকর্মীর সমস্যা হলে তার সাহায্যে এগিয়ে আসা, এই সব সমস্যার সমাধানও সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে করা হয়৷
ইভান আহমেদের সাক্ষাৎকারটি আপনাদের কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷