‘পরামর্শ ছাড়াই পর্নোগ্রাফি আইন করছে সরকার’
৬ জানুয়ারি ২০১২কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যারা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন তারা বলছেন, আইনটি তৈরির আগে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নেয়া হয়নি৷ তাই এর সুফল নিয়ে সন্দিহান তারা৷ এঁদেরই একজন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী৷
তিনি বলছেন, ‘‘আইনটা যে সে সম্পর্কে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি৷ মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর আমরা আইনটা দেখতে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি৷ কিন্তু তাঁরা বলছেন, সংসদে পাশ হওয়ার আগে সেটা দেখানো যাবে না৷''
সালমা আলী বলেন, কোনো আইন যদি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে তৈরি করা হয় তাহলে সেটা পুরোপুরি সফল নাও হতে পারে৷ তাতে বিভিন্ন ফাঁক ফোকর থেকে যেতে পারে৷ এমনও হতে পারে, লঘু পাপে হয়তো কাউকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়ে যেতে পারে, বা কেউ চাইলে ইচ্ছে করে শত্রু কাউকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে৷
তিনি বলেন, এর আগে যে মানব পাচার আইন ও পারিবারিক নির্যাতন ও সুরক্ষা আইন হয়েছে সেসময় স্বরাষ্ট্র ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সবার সঙ্গে আলোচনা করেছিল৷ কিন্তু পর্নোগ্রাফি আইনের ক্ষেত্রে কেন এমন লুকোচুরি করা হচ্ছে সেটা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান সালমা আলী৷
তিনি বলেন, অনেক নারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তারা পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত আইনের খোঁজ শুরু করেন৷ তারা দেখতে পান, ২০০৬ সালে করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনই একমাত্র আইন যার আওতায় পর্নোগ্রাফি নিয়ে মামলা করা যেতে পারে৷ কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয় বলে গত বছরের শেষের দিকে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিলেন সালমা আলী৷ এরপর একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য-প্রযুক্তি আইন প্রণয়নে কেন নিদের্শ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করে আদালত৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক