পপসম্রাট মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের জন্যে মেডিকেল বোর্ড
২৮ মে ২০১১শনিবার বিকাল ৩টায় ছয় সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে বলে স্কয়ার হাসপাতালে আজম খানের চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারককারী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন৷
এদিকে পপগুরুর গুরুতর অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে তাঁর ভক্তকুল৷ রয়েছেন আত্মীয়-স্বজনরাও৷ আজম খানের মেয়ে ইমা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সকালে কিছু সময়ের জন্য সংজ্ঞা ফিরেছিলো তার বাবার৷ ‘‘সাড়ে ১০টার দিকে কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি৷ কয়েকটি শব্দও উচ্চারণ করেছিলেন তিনি৷ আমার ছোট বোন তখন পাশে ছিলো৷ তবে বাবা কী বলেছেন, তা সে বুঝতে পারেনি,'' বলেন ইমা৷
ব্যান্ড দল উচ্চারণ গড়ার মধ্য দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশকারী আজম খান ২০১০ সাল থেকে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে ভুগছেন৷ চিকিৎসার জন্যে তাঁকে দু'বার সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
তবে গত নভেম্বরে শেষবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করেই আজম খান ফিরে আসেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ক্যান্সার এখন তাঁর মুখ থেকে ফুসফুস, যকৃৎ ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে৷
জীবন নিয়ে উদাসীন আজম খান নিজের চিকিৎসা নিয়েও বরাবর উদাসীন ছিলেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানান৷ মুক্তিযোদ্ধা আজম খান গত ২২ মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৷
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুরে জন্ম নেওয়া মাহবুবুল হক খান সংগীতাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন আজম খান নামে৷ ২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এ সংগীত শিল্পী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে 'উচ্চারণ' ব্যান্ড দল গঠন করেন৷ বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর প্রথম কনসার্ট প্রচারিত হয় ১৯৭২ সালে৷ ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে' গেয়ে স্থান করে নেন বাংলার মানুষর হৃদয়ে৷
বাংলাদেশে পপ সংগীতের জনপ্রিয়তা আজম খানের হাত ধরেই৷ দেশে এ জগতের কিংবদন্তী মনে করা হয় তাঁকে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই