1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পপসম্রাট মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের জন্যে মেডিকেল বোর্ড

২৮ মে ২০১১

ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বাংলাদেশের পপগুরু আজম খানের অবস্থা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসছে মেডিকেল বোর্ড৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থাগুলো এই খবর দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11Pjc
বাংলাদেশে পপ সংগীতের জনপ্রিয়তা আজম খানের হাত ধরেই৷ছবি: http://our-music.blogfa.com/

শনিবার বিকাল ৩টায় ছয় সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে বলে স্কয়ার হাসপাতালে আজম খানের চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারককারী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন৷

এদিকে পপগুরুর গুরুতর অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে তাঁর ভক্তকুল৷ রয়েছেন আত্মীয়-স্বজনরাও৷ আজম খানের মেয়ে ইমা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সকালে কিছু সময়ের জন্য সংজ্ঞা ফিরেছিলো তার বাবার৷ ‘‘সাড়ে ১০টার দিকে কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি৷ কয়েকটি শব্দও উচ্চারণ করেছিলেন তিনি৷ আমার ছোট বোন তখন পাশে ছিলো৷ তবে বাবা কী বলেছেন, তা সে বুঝতে পারেনি,'' বলেন ইমা৷

ব্যান্ড দল উচ্চারণ গড়ার মধ্য দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশকারী আজম খান ২০১০ সাল থেকে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে ভুগছেন৷ চিকিৎসার জন্যে তাঁকে দু'বার সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

তবে গত নভেম্বরে শেষবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করেই আজম খান ফিরে আসেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ক্যান্সার এখন তাঁর মুখ থেকে ফুসফুস, যকৃৎ ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে৷

জীবন নিয়ে উদাসীন আজম খান নিজের চিকিৎসা নিয়েও বরাবর উদাসীন ছিলেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানান৷ মুক্তিযোদ্ধা আজম খান গত ২২ মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৷

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুরে জন্ম নেওয়া মাহবুবুল হক খান সংগীতাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন আজম খান নামে৷ ২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এ সংগীত শিল্পী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে 'উচ্চারণ' ব্যান্ড দল গঠন করেন৷ বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর প্রথম কনসার্ট প্রচারিত হয় ১৯৭২ সালে৷ ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে' গেয়ে স্থান করে নেন বাংলার মানুষর হৃদয়ে৷

বাংলাদেশে পপ সংগীতের জনপ্রিয়তা আজম খানের হাত ধরেই৷ দেশে এ জগতের কিংবদন্তী মনে করা হয় তাঁকে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই