1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মার কারণে ৬০ হাজার হেক্টর এলাকা ভেঙেছে

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বলছে, ১৯৬৭ সাল থেকে পদ্মার কারণে ৬০ হাজার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে৷ আগস্ট মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে নাসা আর্থ অবজারভেটরি৷

https://p.dw.com/p/34r7N
নাসার চোখে বিভিন্ন সময়ের পদ্মাছবি: Youtube/NASAEarthObservatory

নাসার প্রতিবেদনে ভাঙনের জন্য দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে৷ এক, পদ্মা প্রাকৃতিকভাবে নিজের মতো চলতে পারা একটি নদী, যার তীর বাঁধার তেমন চেষ্টা করা হয়নি৷ শুধু মাঝেমধ্যে বালুর বস্তা ফেলে ঘর-বাড়ি রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে৷ দুই, পদ্মার তীর এলাকায় বালুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পেরেছে৷

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা পদ্মা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন৷ নাসার ল্যান্ডস্যাট কর্মসূচির আওতায় থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে বছরের পর বছরের পদ্মার ছবি তোলা হয়েছে৷ এরপর ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিওতে ১৯৮৮ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়েছে৷

ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত তিন দশকে পদ্মা একটি সরু ও সোজাসুজি চলা নদী থেকে সর্পিল আকৃতি ধারণ করে অতি সম্প্রতি আবার সোজা চলা নদীতে পরিণত হয়েছে৷

প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, ১৯৯২ সালে পদ্মা প্রথম বাঁক নেয়া শুরু করেছিল৷ এরপর ২০০২ সাল থেকে সেটি কমতে শুরু করে৷ আর এখন সেটি থেমে গেছে৷

চলার পথে বাঁক নেয়ার সময় পদ্মা তার আশেপাশের জমি, ঘরবাড়ি সব ভেঙে নিয়ে গেছে৷ ফলে ঐসময় নদী ভাঙনের ঘটনা বেশি ঘটেছে৷ আর এখন পদ্মা আবার সোজা চলা নদী হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হার একটু কমেছে বলে মনে করছেন নাসার পর্যবেক্ষকরা৷

জেডএইচ/এসিবি (ইউএনবি, নাসা)

২০১৪ সালের ছবঘরটি দেখুন...