পদক খোয়ালেন হ্যামিল্টন, আর্মস্ট্রং এর প্রতারণার অভিযোগ
২১ মে ২০১১শুরুতে হ্যামিল্টনের কথা বলা যাক৷ গত ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী এই তারকা অবশেষে তার পদক ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ ডোপিং টেস্টে ধরা পড়ে যে অলিম্পিক চলাকালে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করেছিলেন টাইলার হ্যামিল্টন৷ এই ঘটনা স্বীকার করার পর অলিম্পিক কমিটি জানায় যে তারা হ্যামিল্টনের পদক বাতিল করবে৷ তার আগেই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এন্টি ডোপিং এজেন্সি জানায় যে হ্যামিল্টন ইতিমধ্যে তার স্বর্ণপদক ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার মার্কিন টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন, যে অলিম্পিকের সময় তিনি শক্তি বর্ধক ওষুধ নিয়েছিলেন৷
তবে ওই সাক্ষাৎকারে আরও এক বোমা ফাটালেন হ্যামিল্টন৷ নিজের স্বর্ণপদক তো গেছেই, তার ওপর অভিযোগ তুললেন যে সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ল্যান্স আর্মস্ট্রং ও নাকি নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করতেন এবং এই কুকীর্তির সহযোগী ছিলেন তাঁরা দুজনই৷ অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে, পদক খুইয়ে এখন আর্মস্ট্রংকে এক হাত নেওয়ার চেষ্টা করছেন হ্যামিল্টন৷ কিন্তু জর্জ হিনক্যাপির বক্তব্যের পর তাদের সেই সন্দেহ আর থাকবে কিনা সেটা বলা মুশকিল৷ কারণ এই হিনক্যাপিকেই গত বছর আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, সে আমার ভাইয়ের মত৷
তো সেই ভাইয়ের মত হিনক্যাপি কী বললেন? তিনিও মার্কিন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, যে আর্মস্ট্রং শক্তি বর্ধক মাদক ব্যবহার করতেন, এমনটিই বলা হয়েছে মার্কিন টিভি সিবিএস এর খবরে৷ লস এঞ্জেলেসে জুরিদের সামনে দেওয়া এক সাক্ষ্যদানে এই তথ্য জানিয়েছেন আমর্স্ট্রং এর ঘনিষ্ঠ জর্জ হিনক্যাপি৷ হ্যামিল্টনও সেই জুরিদের সামনে তার অপরাধ স্বীকার করেছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক