‘‘ন্যায্য পাওনার কম কিছুতে সম্মত হব না’’ তিস্তা প্রসঙ্গে দীপু মনি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং'এর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের আগ মুহূর্ত অবধি তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন দীপু মনি৷ কিন্তু শেষ অবধি সেই চুক্তি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একেবারে শেষ মুহূর্তেও আনুষ্ঠানিক যে তথ্য ভারত সরকার আমাদেরকে দিয়েছিল, সে অনুযায়ী সেদিন হবার কথা ছিল৷ সেকারণেই আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম এবং ভারত সরকারও আশাবাদী ছিল''৷
বাংলাদেশ মিয়ানমার সমুদ্র সীমান্ত বিষয়ক বিরোধ নিয়ে বর্তমানে শুনানি চলছে হামবুর্গে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিষয়ক ট্রাইবুনাল, ইটলস-এ৷ দীপু মনি সেই শুনানিতে অংশ নিয়েছেন৷ সোমবার হামবুর্গের আদালতে শুনানির ফাঁকেই ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী'র সর্বশেষ সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি, তারমানে এই নয় যে এই চুক্তি হবে না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই তিস্তা চুক্তি হবে৷ এই বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে একটি ‘সম্মত অবস্থান' আছে''৷
ভারতের একটি পত্রিকা সম্প্রতি দাবি করেছে, নতুন দিল্লী চাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে গিয়ে এই চুক্তি সম্পন্ন করুক৷ এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কোন তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই চাইবো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফরে আসুন৷ এবং তাঁর জন্য আমরা অপেক্ষাই করছিলাম৷ তিনি আসতে পারেননি, কেননা এই মাসেই তাঁর নির্বাচন আছে৷ তবে তিনিও নিশ্চয়ই খুব শীগগিরই আসবেন৷ তখনও যদি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, সেটিও হতে পারে''৷
পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ অবশ্যই তিস্তার ৪৮ শতাংশ পানি পাবে৷ বরং ৫০ শতাংশও পেতে পারে''৷ এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. মনি শতাংশের কোন হিসেব প্রকাশে রাজি হননি৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে, বাংলাদেশ সরকারে থেকে, আমরা বাংলাদেশের মানুষের যা ন্যায্য পাওনা, তারচেয়ে কম কিছুতে নিশ্চয়ই সম্মত হব না''৷
ড. দীপু মনি’র সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি শুনতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন