নৌকা ডুবে ২১ জন রোহিঙ্গা নিহত
২০ এপ্রিল ২০১৬জাতিসংঘ জানায়, ডুবে যাওয়া নৌকাটি পাওকাও থেকে রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে-তে যাচ্ছিল৷ পাওকাও এলাকায় সিন টেট মাও নামের একটি কেন্দ্র রয়েছে যেখানে রোহিঙ্গারা বাস করে৷ সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে বাধ্য হয়ে ঐ কেন্দ্রে বসবাস করতে হচ্ছে৷
মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল ব়্যাপোটিয়ার ইয়াংহি লি ‘শিশু সহ রোহিঙ্গা'দের মৃত্যুতে ‘দুঃখ' প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, ‘অবশ্যই সমাধান' বের করতে হবে৷
কাও হালা অং নামের এক রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘অনিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ কারণ আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ওষুধ কিনতে সিটওয়ে যাওয়ার জন্য সড়কপথ ব্যবহার করতে পারি না৷''
একই কথা বলেছেন আরেক রোহিঙ্গা টিন হালা৷ ডুবে যাওয়া নৌকায় তাঁর ছেলেও ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যখন সিটওয়েতে যাওয়ার দরকার হয় তখন অনিরাপদ (সাগর দিয়ে) পথে যেতে হয়৷''
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরা ও সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বাধানিষেধ রয়েছে৷ দেশটিতে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে দেখা হয় না৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষ প্রায়ই রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি' অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে৷ ২০১২ সালে রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধদের মধ্যে দাঙ্গায় শত শত লোক প্রাণ হারিয়েছিল৷
মিয়ানমারে এখন ক্ষমতায় নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল৷ রোহিঙ্গাদের অধিকার বিষয়ে সু চির ভূমিকার সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন৷
নৌকাডুবির খবর পরিবেশনের সময় জাতিসংঘের ‘রোহিঙ্গা' শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়টি টুইটে উল্লেখ করেছেন এএফপির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেদক জেরোমে টেলর৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)