নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েন হতে পারে
১৫ নভেম্বর ২০১৮নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিংয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন৷ তিনি জানান, ‘সংসদ নির্বাচনের ২ থেকে ৩ দিন অথবা ৭ থেকে ১০ দিন আগে নির্বাচনি এলাকায় সেনাবাহিনী যাবে৷ ওই সময় নির্বাচনি এলাকায় বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড)-ও মোতায়েন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যদি কেউ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়, তবে আইনের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নির্বাচনে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো যাবে না৷ যেসব কর্মকর্তা কাজে অবহেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইসি কঠোর ব্যবস্থা নেবে৷’’
প্রসঙ্গত, বিএনপিসহ তাদের জোট সংসদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিল৷ অন্যদিকে, এর বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করার কোনো সুযোগ নেই, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারে৷
বাংলাদেশে এর আগের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন হয়েছে৷ ভোটের মাঠে সেনাসদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতেই নিয়োজিত থাকেন৷ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল৷
‘ধানের শীষ’ নিয়েই ভোটে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট
কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবিতে জোট বাঁধা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷ মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে দুপুরে জোটের নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান ফ্রন্টের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না৷
এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউন)