সুস্বাদু নিরামিষ বার্গার!
২৯ জানুয়ারি ২০১৬কোলন শহর রাইন নদীর তীরে জার্মানির মিডিয়া রাজধানী হিসেবে পরিচিত৷ শহরের এয়ারেনফেল্ড এলাকায় মূলত বিদেশি অভিবাসী ও তরুণ প্রজন্মের বসবাস৷ নাম ‘রঙিন বার্গার' হলেও সেখানে মাংস, দুধ ও চিজ বাদ দিয়ে প্রায় সবই পাওয়া যায়৷ এটাই জার্মানির প্রথম ‘ভিজান' (বানানভেদে ভেগান) বা শুদ্ধ নিরামিষ বার্গারের রেস্তোরাঁ৷ উলরিশ গ্লেমনিৎস ও মারিও বিন্ডার এই রেস্তোরাঁর মালিক৷
উলরিশ গ্লেমনিৎস বলেন, ‘‘হৃদয়ের ডাক শুনে আমি এগিয়ে গেছি৷ মারিও-ও সেটাই চেয়েছিল৷ ঠিক করলাম, শুদ্ধ নিরামিষ ভিজান খাবারের রেস্তোরাঁ খুলবো৷ তবে নামের মধ্যে ‘ভিজান' শব্দটি কিন্তু নেই৷ খাবারের স্বাদই এখানে আসল বিষয়৷''
সেই প্রয়াস কতটা সার্থক হচ্ছে, তা জানতে রেস্তোরাঁর হেঁশেলে উঁকি দিতে হয়৷ সেখানে লেটুস পাতা ধোয়া হচ্ছে এবং রাঙালুর চিপস ভাজা হচ্ছে৷ রাঁধুনী জন কাম্পানা সব কিছু সামলাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা বেশ বড় টুকরো৷ এটা ময়দার আঠার কাটলেট৷ ময়দার আঠা আমরা নিজেরাই তৈরি করি৷ কয়েক দিন পর পর তৈরি হয়৷''
চীনা ও জাপানি জেন-বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মাংসের বিকল্প হিসেবে ময়দার আঠা তৈরি করেছিলেন৷ জন কাম্পানা বলেন, ‘‘প্রথমে ইটালিয়ান পেস্টো সস দিয়ে শুরু করছি৷ তাতে রয়েছে তাজা পার্সলি পাতা, মিষ্টি কাসুন্দি, সূর্যমুখী ফুলের বীজ৷ তার উপর তাজা স্থানীয় লেটুস পাতা৷''
সঙ্গে শসা ও বিট-ও থাকে৷ কাম্পানা বলেন, ‘‘প্রতিদিনই এখানে এমন সব মানুষ আসেন, যারা বড়সড় হ্যামবার্গারের লোভে ভুল করে ঢুকে পড়েন৷ কিন্তু এখানে তো সেটা পাওয়া যায় না৷ তখন আমরা তাদের এই বার্গার খেতে বলি, কারণ এটির মধ্যেই সবচেয়ে বেশি মাংসের মতো স্বাদ পাওয়া যায়৷ কোনো মাংসাসী এখনো পর্যন্ত এটি না খেয়ে চলে যাননি৷''
একটু চিনি দিয়ে লাল পেঁয়াজ ভেজে মচমচে করে নেওয়া হয়৷ তার উপর আরও একটু শুকনো ভাজা পেঁয়াজ পড়ে৷ ব্যস, খাবার প্রস্তুত৷