নিজের শেষ বিশ্বকাপে চূড়ান্ত জয় চান মুরালি
২৬ জানুয়ারি ২০১১অফ ব্রেকের চেয়ে লেগ ব্রেকই বেশি কার্যকর, এই কথাটি ক্রিকেটের শুরু থেকেই জেনে এসেছে দুনিয়া৷ কিন্তু মুত্তিয়া মুরালিধরনের আগমন যেন হয়েছে এই কথাটিকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য৷ লেগ স্পিনারের হাত থেকে যত ধরণের বল বের হয়, তার চেয়ে কোন অংশেই কম নয় অফ স্পিন, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এই তামিল খেলোয়াড়৷ আর উইকেট শিকারের জন্য যে পিচের সহায়তার দরকার নেই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুরালিধরন৷
বলা হয়ে থাকে কাঁচের ওপরও নাকি মুরালি তাঁর বল ঘোরাতে পারবেন৷ তাই উইকেটের জন্য তাঁর শুধু ২২ গজ জায়গা হলেই চলে৷ মুরালি কোন উইকেট পাননি, এমন ম্যাচ কেউ মনে করে দেখতে পারবে কিনা সন্দেহ৷ টেস্ট প্রতি হাফ ডজন উইকেট যেন মুরালির জন্য ধরাই থাকে৷ শ্রীলংকার মাটিতে ওয়ানডে হলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ৫০ ওভারের জায়গায় ৪০ ওভারের হিসাব করে৷ কারণ মুরালির বাকি ১০ ওভারে যে রান পাওয়া যাবে সেটা বোনাস!
বলকে বাঁক খাওয়ানোর এই অসাধারণ ক্ষমতার জন্য মুরালি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্ক জাগানো বোলার৷ ১৯৯২ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন৷ তার পর থেকে শুধু ইনজুরি ছাড়া আর বাকি সময়টুকু শ্রীলংকার জাতীয় দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার মুরালিধরন৷
টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড তার হাতে, এটা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু সেটা যে কতদূর গিয়ে ঠেকবে সেটা মুরালিধরনই ভালো বলতে পারবেন৷ টেস্টে ইতিমধ্যে ৮০০ উইকেট ছুঁয়েছেন তিনি, ওয়ানডেতে ৫০০-র ঘর পার হয়ে গেছেন একমাত্র তিনিই৷ ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলংকা দলের সদস্য মুরালি চান এবারের বিশ্বকাপটা নিজ দেশে রেখেই তিনি অবসর নেবেন একদিনের ক্রিকেট থেকে৷