1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের শেষ বিশ্বকাপে চূড়ান্ত জয় চান মুরালি

২৬ জানুয়ারি ২০১১

একসময় যারা তাঁকে চাকার হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল, আজ তাঁরাই ক্রিকেটের সেরা স্পিনার হিসেবে তাঁকে মেনে নিয়েছে৷ বলছি শ্রীলংকার অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের কথা৷

https://p.dw.com/p/105Tk
মুত্তিয়া মুরালিধরনছবি: AP

অফ ব্রেকের চেয়ে লেগ ব্রেকই বেশি কার্যকর, এই কথাটি ক্রিকেটের শুরু থেকেই জেনে এসেছে দুনিয়া৷ কিন্তু মুত্তিয়া মুরালিধরনের আগমন যেন হয়েছে এই কথাটিকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য৷ লেগ স্পিনারের হাত থেকে যত ধরণের বল বের হয়, তার চেয়ে কোন অংশেই কম নয় অফ স্পিন, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এই তামিল খেলোয়াড়৷ আর উইকেট শিকারের জন্য যে পিচের সহায়তার দরকার নেই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুরালিধরন৷

বলা হয়ে থাকে কাঁচের ওপরও নাকি মুরালি তাঁর বল ঘোরাতে পারবেন৷ তাই উইকেটের জন্য তাঁর শুধু ২২ গজ জায়গা হলেই চলে৷ মুরালি কোন উইকেট পাননি, এমন ম্যাচ কেউ মনে করে দেখতে পারবে কিনা সন্দেহ৷ টেস্ট প্রতি হাফ ডজন উইকেট যেন মুরালির জন্য ধরাই থাকে৷ শ্রীলংকার মাটিতে ওয়ানডে হলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ৫০ ওভারের জায়গায় ৪০ ওভারের হিসাব করে৷ কারণ মুরালির বাকি ১০ ওভারে যে রান পাওয়া যাবে সেটা বোনাস!

বলকে বাঁক খাওয়ানোর এই অসাধারণ ক্ষমতার জন্য মুরালি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে আতঙ্ক জাগানো বোলার৷ ১৯৯২ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন৷ তার পর থেকে শুধু ইনজুরি ছাড়া আর বাকি সময়টুকু শ্রীলংকার জাতীয় দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার মুরালিধরন৷

টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড তার হাতে, এটা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু সেটা যে কতদূর গিয়ে ঠেকবে সেটা মুরালিধরনই ভালো বলতে পারবেন৷ টেস্টে ইতিমধ্যে ৮০০ উইকেট ছুঁয়েছেন তিনি, ওয়ানডেতে ৫০০-র ঘর পার হয়ে গেছেন একমাত্র তিনিই৷ ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলংকা দলের সদস্য মুরালি চান এবারের বিশ্বকাপটা নিজ দেশে রেখেই তিনি অবসর নেবেন একদিনের ক্রিকেট থেকে৷