শিশুরাই গড়েছে সংগঠন
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪গডউইন জেমসের সকালে স্কুলে থাকার কথা৷ কিন্তু স্কুল বাদ দিয়ে কাজে যেতে বাধ্য হয়েছে সে৷ তার বয়স মাত্র ১৪ বছর৷ তা সত্ত্বেও তার অনেক কাজ করতে হয়৷ নাইজেরিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত বাডাগ্রি-তে বাস করে গডউইন৷ অধিকাংশ সময় সে টিনের চাল তৈরির কাজ করে৷
তার বাবা-মাও কাজ করে৷ কিন্তু গডউইন এবং তার পাঁচ ভাইবোনের খরচ মেটাতে সে আয় যথেষ্ট নয়৷ তাই তাকেও সাহায্য করতে হয়৷ গডউইন জেমস বলেন, ‘‘আমি যদি তাদের সাহায্য করি, তাহলে তারা খুশি মনে আমাকে লেখাপড়ায় সহায়তা করবে৷''
কাজ পাওয়ায় সে খুশি৷ তবে সে মনে করে, বাবা-মা তার কাছ থেকে অনেক বেশি আশা করছে৷ তাই গডউইন এবং অন্যান্য শিশু শ্রমিকরা একটি অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছে, যা অনেকটা শ্রমিক ইউনিয়নের মতো৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা আমার পক্ষে দাঁড়ায় এবং আমার মায়ের কাছে গিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানায়৷ আফ্রিকায় শিশুদের অধিকার সম্পর্কেও অভিভাবকদের অবহিত করে তারা৷''
গডউইনদের সংগঠনটি আফ্রিকান মুভমেন্ট অফ ওয়ার্কিং চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ (এএমডাব্লিউসিওয়াই) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ তারা সপ্তাহে একদিন সাক্ষাৎ করে৷ তবে তারা শিশুশ্রম বন্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে না৷ কারণ এই মুহূর্তে তা বাস্তবসম্মত নয়৷ তাই তারা আপাতত কাজের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে৷
আকোনাসু গবেডোজিন আগে ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন৷ এখন তিনি স্কুল শিক্ষক৷ এবং ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করেন৷ অল্পবয়সি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় আমার কোনো কিছু বলার সুযোগ ছিল না৷ আমি শুধুমাত্র তাই করতাম, যা আমার বাবা-মা, সমাজ করতে বলতো৷ কেননা তখন শিশুদের কোনো সংগঠন ছিল না৷ শিশুদের অধিকার সম্পর্কে জানানোর কেউ ছিল না৷''
আকোনাসু নাইজেরিয়ার শিশুদের সমস্যা সম্পর্কে জানেন৷ তবে পরিবর্তনের গতি বড় ধীর৷