ফ্লাইট ৮৫০১-এর পুচ্ছ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে
৭ জানুয়ারি ২০১৫দশ দিন আগে বিমানটি ১৬২ জন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়৷ এ যাবৎ ৪০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ বাকি মৃতদেহগুলি গত দশ দিন ধরে পানিতে, কাজেই শনাক্তকরণ আরো শক্ত হয়ে পড়বে৷ যে ১২০টির বেশি মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, সেগুলি বিমানের ফিউজেলাজ-এ পাওয়া যাবে, বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা৷
ওদিকে জোরালো স্রোত আর ঘোলাজলের ফলে উদ্ধারকার্য পূর্বাপর ব্যাহত হচ্ছে৷ অনুসন্ধানকারীরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি তুলেছেন বিমানের শেষ সংকেত পাঠানোর স্থান থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে – এ কথা বলেছেন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সন্ধান ও ত্রাণ কর্তৃপক্ষের প্রধান হেনরি বামবাং সুলিস্তিও৷ অপরদিকে রয়টার্স প্রমুখ সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বিমানের পুচ্ছটি আবিষ্কৃত হয়েছে বিমানের সর্বশেষ জ্ঞাত অবস্থান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে৷
বিমান-পুচ্ছ আবিষ্কারের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ কেননা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার এই লেজ বা পুচ্ছতেই রাখা থাকে৷ ইতিপূর্বে বিমানের আসন কিংবা আপৎকালীন দরজা ইত্যাদি সাগরে ভাসতে দেখা গিয়েছিল৷ ‘সোনার' দিয়ে সাগরবক্ষে ছ'টি বড় টুকরোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বটে, কিন্তু সেগুলি অনুসন্ধান করে দেখা এ যাবৎ সম্ভব হয়নি৷ কাজেই ব্ল্যাক বক্সগুলি থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তার গুরুত্ব অসীম৷
দুর্ঘটনার সময় বিমানটি সোজাসুজি এবং ওপর থেকে নীচে কোন গতিতে যাচ্ছিল, তা জানা যাবে এই ব্ল্যাক বক্স থেকে; এছাড়া জানা যাবে ইঞ্জিনের তাপমাত্রা এবং শোনা যাবে বিমানের ক্যাপ্টেন ও তাঁর কো-পাইলটের মধ্যে কথোপকথনের রেকর্ডিং৷ ব্ল্যাক বক্সগুলির ‘বিকন' থেকে যে ‘পিং' সংকেতটি প্রেরিত হয়, তা প্রায় বিশ দিন চালু থাকে – তারপর ব্যাটারিগুলি অচল হয়ে পড়ে৷ সাগরে ঢেউ বেশি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলি তাদের ‘পিং-লোকেটর' দিয়ে সাগরবক্ষ চষে ফেলতে পারছে না৷ ভারী বৃষ্টি, উঁচু ঢেউ, এ সব সত্ত্বেও জাভা সাগরে একটি নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান করা অপেক্ষাকৃত সহজ, কেননা জল এখানে গভীর নয়৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)