নায়াগ্রা জলপ্রপাত
১৬ জুন ২০১২নায়াগ্রা জলপ্রপাতের নাম কে না জানে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যানাডার সীমান্তের এই বিশ্বখ্যাত জলপ্রপাতের আকার আকৃতি বিশাল৷ সেই নায়াগ্রার সবচেয়ে কঠিন জায়গায়, তীব্র বুনো বাতাস আর প্রবল জলের ছাঁট সামলাতে সামলাতে দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে সেটাকে পেরিয়ে গেল একজন মানুষ৷ হাজার হাজার দর্শক তার সাক্ষী৷ আয়োজক এবিসি টিভি চ্যানেলের অনুরোধে অ্যাক্রোব্যাট নিক ওয়ালেন্ডা শরীরে একটা আলাদা দড়ি বেঁধেছিলেন, যাতে করে পা পিছলিয়ে গেলে প্রাণে না মারা যান৷ কিন্তু একবারের জন্যও পা পিছলোয় নি৷ মাত্র পঁচিশ মিনিটে সেই ভয়ংকর পথ পেরিয়ে গেছেন নিক৷ বিশ্বরেকর্ড এখন তাঁর দখলেই৷ কারণ এর আগে কেউই নায়াগ্রার সবচেয়ে বিপদসংকুল জায়গাটি পেরোনোর চেষ্টাই করেন নি দড়ির ওপরে হেঁটে৷
গত শতকে অন্তত ১৪ জন এই নায়াগ্রাকে দড়ির ওপরে হেঁটে পেরোনোর চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সফল হয়েছেন৷ তবে সেসবই করা হয়েছে অপেক্ষাকৃত শান্ত এলাকায়৷ যেখানে বাতাসের হামলা বা জলকণার হামলা এতটা তীব্র নয়৷ দু'একটি দুর্ঘটনার পর নায়াগ্রাকে এভাবে পারাপার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়৷ নিকের ক্ষেত্রে অবশ্যি অনুমতি মিলতে দেরি হয়নি৷ কারণ এমনিতেই তিনি নামজাদা অ্যাক্রোব্যাট৷ আর কাজটা সাফল্যের সঙ্গে করে নিক ওয়ালেন্ডা প্রমাণ করে দিয়েছেন, একাগ্রতা আর চেষ্টায় সবকিছুই করা যায়৷
নিকের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘটনাস্থলেই ছিলেন৷ ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে সারাক্ষণ হেডফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন নিক নায়াগ্রা পার করার সময়৷ বলেছেন, ‘আমার বাবাই আমার প্রেরণা৷' নিক ওয়ালেন্ডার পরিবারকে অ্যাক্রোব্যাট দুনিয়া ফ্লাইং ওয়ালেন্ডা পরিবার নামেই জানে৷ সাত পুরুষ ধরে এই দড়ির ওপরে চলাফেরা করছে ওয়ালেন্ডা পরিবার৷ নিকের বাবা টেরি ট্রোফার ওয়ালেন্ডাও যৌবনে নামজাদা অ্যাক্রোব্যাট ছিলেন৷
নায়াগ্রাকে জয় করেই নিকের ঘোষণা ‘এবার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন পেরোব৷ অনুমতি আমার নেওয়া আছে৷' জেনে রাখা ভালো, নায়াগ্রার থেকেও সে কাজ অনেক বেশি বিপদসংকুল এবং অনেক দীর্ঘ৷ তবে, নায়াগ্রাকে যেভাবে সহজে জয় করেছেন নিক ওয়ালেন্ডা, তাতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নটাও তিনিই জয় করতে পারবেন বলে মনে করছে নিকের ভক্তকূল৷
এসইউবি(এএফপি,এপি)/আরআই