1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর প্রতি সম্মানই পারে সহিংসতা বন্ধ করতে: জাতিসংঘ মহাসচিব

২৫ নভেম্বর ২০১৮

যতদিন নারীরা নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, যতদিন নারীদের নিরাপত্তা ও সহিংসতা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হবে, ততদিন বিশ্ব নারীদের সমানাধিকারের ব্যাপারে অহংকার করতে পারবে না, বলেন জাতিসংঘ মহিসচিব৷

https://p.dw.com/p/38nfj
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/G. Pardo

 

যতদিন নারীরা নির্ভয়ে এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, যতদিন নারীদের নিরাপত্তা এবং সহিংসতা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হবে, ততদিন বিশ্ব নারীদের সমানাধিকারের ব্যাপারে অহংকার করতে পারবে না৷

২৫ শে নভেম্বর ‘আন্তর্জাতিক নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অবসান দিবস'৷ এ উপলক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ মহিসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই কথাগুলো বলেন৷

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আয়োজনে গুতেরেস বলেন, ‘‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বিশ্বব্যাপী মারণব্যাধি ক্যানসারের মতো রূপ নিয়েছে৷ এর ফলে অনেক নারী অল্পবয়সে মৃত্যুবরণ করছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি এত সহিংসতা বাড়ার কারণ হলো নারী ও মেয়েদের প্রতি সম্মানের অভাব এবং পুরুষরাই এজন্য দায়ী৷ কেননা তারা সমাজে নারীদের সমানাধিকার দিতে প্রস্তুত নয় এবং নারীদের প্রাপ্য সম্মানটুকু তারা দেয় না৷ ''

জাতিসংঘ মহাসচিবের তত্ত্বাবধানে দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৬ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে৷ এই প্রচারণার নাম দেয়া হয়েছে ‘ইউনিটি ক্যাম্পেইন'৷ এর আওতায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে তারা বিশ্বব্যাপী নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়৷

এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘‘অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড: হ্যাশট্যাগ হেয়ারমিটু''৷ বিশ্বব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ‘কমলা' রংকে বেছে নেয়া হয়েছে গতবছরের মতো৷ বিশ্বের সব দেশের নারী, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন বা বেঁচে ফিরে এসেছেন তাদের কথা বলার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে জাতিসংঘ৷

 

নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে গঠিত জাতিসংঘ ট্রাস্ট তহবিল বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর পুরস্কৃত করে থাকে৷ গত দুই দশক ধরে এই ট্রাস্ট ১৩৯টি অঞ্চলের ৪৬০টি প্রকল্পে সহায়তা দিয়েছে এবং গত বছর ৬০ লাখ মানুষকে সাহায্য করেছে৷

এত উদ্যোগ সত্ত্বেও লাখো-কোটি নারী প্রতিবছর সহিংসতার শিকার হচ্ছেন৷ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট মারিয়া ফার্নান্দো এসপিনোসা যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিলেন, তা রীতিমত আতঙ্কজনক৷ তিনি জানান, বিশ্বের ৩৫ ভাগ নারী কোনো না কোনোভাবে শারীরিক ও যৌন হয়রানির শিকার এবং ৩৮ শতাংশ নারীর মৃত্যু হয় স্বামী বা সঙ্গীর নির্যাতনে৷

এপিবি/ডিজি (জাতিসংঘ সংবাদ)