নাভালনিকে দেশে ফেরার চরমসীমা রাশিয়ার
২৯ ডিসেম্বর ২০২০রাশিয়ায় তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। নাভালনি জার্মানিতে এসে বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুটিনের কট্টর বিরোধী এই রুশ রাজনীতিক এখন সুস্থ। তবে তাঁকে নিয়ে জার্মানি সহ ইইউ এবং রাশিয়ার বিরোধ সামনে এসেছে। জার্মানির অভিযোগ, রুশ সরকার এই বিষ দেয়ার দায় এড়াতে পারে না। প্রেসিডেন্ট পুটিন বিষ দেয়ার বিষয়টি জানতেন না, এটা হতে পারে না। এ জন্য রাশিয়ার কিছু কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি। রাশিয়াও পাল্টা জার্মানির কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কিন্তু এখানেই বিরোধ থামেনি। রাশিয়ার জেল কর্তৃপক্ষ নাভালনিকে চরমসীমা দিল। মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষের সামনে হাজিরা দিতে হবে। না হলে রাশিয়া এলেই তাঁকে জেলে ভরা হবে। তাঁদের যুক্তি, নাভালনিকে ২০১৪ সালে একটি মামলায় আদালত দোষী বলেছিল। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে বার্লিনের চিকিৎসকের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, নাভালনি এখন পুরোপুরি সুস্থ। তা হলে তাঁকে এখন দেশে ফিরতে হবে এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে য়েতে হবে। না এলে রাশিয়ায় পা দিলেই তাঁকে জেলে ভরা হবে।
নাভালনির প্রতিক্রিয়া হলো, নিবন্ধের কথা তুলে তাঁকে ডেকে পাঠানোর অর্থ হলো, তাঁকে যে বিষ দেয়া হয়েছিল, তা সরকারিভাবে স্বীকার করে নেয়া। তা হলে সে বিষয়ে ফৌজদারি মামলা কোথায়?
তাঁর মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ জানিয়েছেন, নাভালনি এখনো পুরো সুস্থ নন। তাঁর পক্ষে মঙ্গলবার মস্কোর ক্রিমিনাল ইন্সপেক্টোরেটের সামনে হাজির হওয়া অসম্ভব। ওরা নির্দেশ দিয়েছে। ওরাই তা পালন করুক।
গত অগাস্টে বিষপ্রয়োগের ফলে নাভালনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুই দিন পরে তাঁকে জার্মানি নিয়ে আসা হয়। তিনি কোমায় চলে গেছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। জার্মানি, ফ্রান্স ও সুইডেনের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নাভালনিকে বিষ দেয়া হয়েছিল।
জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)