1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

১৭ আগস্ট ২০১৭

গত সপ্তাহান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নব্য নাৎসি ও উগ্র দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডব সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের প্রতি যে নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন, তার কড়া সমালোচনা করলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/2iNfL
শার্লটসভিল শহরে নব্ নাৎসি ও চরম দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডব
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/E.Molli

শনিবার ভার্জিনিয়া রাজ্যের শার্লটসভিল শহরে কু-ক্লাক্স-ক্ল্যান, নব্য নাৎসি ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যবাদী ‘হোয়াইট সুপ্রিম্যাসি' গোষ্ঠীগুলির হিংস্র তাণ্ডবের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার কারণ হয়ে উঠেছে৷ এবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শার্লটসভিল শহরে উগ্র দক্ষিণপন্থি ও তাদের কার্যকলাপের প্রতিবাদকারীদের প্রতি একই মনোভাব দেখানো মারাত্মক ভুল৷ নব্য নাৎসিদের তাণ্ডবের কড়া সমালোচনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন গাব্রিয়েল৷ তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট' স্টিভ ব্যানন উগ্র দক্ষিণপন্থি মহলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ এমন মহলের হাতে ঢালাও ক্ষমতা তুলে দিলে কী হয়, ইউরোপেও তা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-ও স্পষ্ট ভাষায় শার্লটসভিল শহরে দুই পক্ষের প্রতি সমান আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন৷ যারা ফ্যাসিস্ট মনোভাব দেখাচ্ছে এবং যারা তার বিরোধিতা করছে, তাদের এক দৃষ্টিতে দেখা চলে না, বলেন মে৷ ক্ষমতাসীন ও দায়িত্বশীল মহলের সর্বত্র চরম দক্ষিণপন্থি মনোভাবের কড়া সমালোচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

বর্তমান এই বিতর্কের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন বেশ চাপের মুখে পড়েছে৷ বিশেষ করে শিল্প-বাণিজ্য জগতের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে৷ ক্ষমতা গ্রহণ করে ট্রাম্প যে দুই ব্যবসায়িক উপদেষ্টা গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছিলেন, একের পর এক সদস্য তা ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাঁকে সেগুলি ভেঙে দিতে হয়েছে৷ ‘অ্যামেরিকান ম্যানুফ্যাকচারিং কাউন্সিল' ও ‘স্ট্র্যাটিজিক অ্যান্ড পলিসি ফোরাম' নিজস্ব উদ্যোগেই নিজেদের বিলুপ্তির পদক্ষেপ নিচ্ছিল৷ তখন ট্রাম্প নিজে টুইট করে এই ঘোষণা করেন৷

রিপাবলিকান দলের মধ্যেও ট্রাম্পের সমালোচনার প্রবণতা বেড়ে চলেছে৷ একের পর এক নেতার পর প্রাক্তন দুই প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও জর্জ ডাব্লিউ বুশ তাঁদের বার্তায় পরোক্ষভাবে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷

বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেও ভাঙনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোন ও মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মনুশিন পদত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক প্রাক্তন কর্মকর্তা৷ উল্লেখ্য, এঁরা দুজনেই ইহুদি ধর্মাবলম্বী৷ ট্রাম্প প্রশাসনের আরেক ইহুদি সদস্য ট্রাম্প-এর জামাই জ্যারেড কুশনার কী করেন, সে দিকেও সবার নজর রয়েছে৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)