নবজাতক ৮ শিশুর হত্যাকারী কী মা নিজেই
৩০ জুলাই ২০১০শিশুদের হত্যার সন্দেহে মা ও বাবাকে আটক করে পুলিশ৷ মামলাটির আইনজীবি এরিক ভাইলল্যান্ট বলেন, মা কোটার্জ পুলিশকে বলেছেন, শ্বাসরোধ করে ঐ বাচ্চাদের হত্যা করেছেন তিনি৷ কারণ দুই মেয়ের জন্মের পর তিনি আর সন্তান চাচ্ছিলেননা৷ আবার জন্মনিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডাক্তারের কাছেও তিনি যেতে চাননি৷
স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই বয়স ৪৫ এর কাছাকাছি৷ গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ভ্যানে করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৷ বিচারক বলছেন, ঘটনাটি দেশের সবচেয়ে বড় শিশুহত্যা হতে পারে৷
নিহত শিশুদের মা একজন নার্সিং সহকারী হিসেবে কাজ করেন৷ স্বামীর রয়েছে গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা৷ এছাড়া স্থানীয় গ্রাম পরিষদের তিনি একজন সম্মানিত সদস্য৷ প্রায় ৭০০ মানুষের বাস এই ভিয়া-ও-তার্ৎ গ্রামে৷
স্থানীয় মেয়র পাট্রিক মাসিয়ে বলেন, ওই ব্যক্তি গ্রামবাসীদের জন্য অনেক কাজ করেন৷সবাই তাকে সম্মানও করে৷ মেয়র বলেন, তবে তাঁর স্ত্রী একেবারেই মিশুক নন৷ গ্রামের মানুষের সঙ্গেও তাঁর ওঠাবসা কম৷ খুব গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ তিনি৷
একটি বাড়ির নতুন মালিক বাগান খুঁড়তে গিয়ে দু'টি শিশুর হাড়গোড় পাওয়ার পর পুলিশ সন্ধানী কুকুর দিয়ে দু'টি বাড়িতে তল্লাশি চালায়৷ ঐ বাড়িতে আগে গ্রেপ্তার হওয়া ঐ মহিলার বাবা-মা বসবাস করতেন৷
স্থানীয় একজন কাউন্সিলর বার্তা সংস্থা রয়টারকে জানান, এরপর তল্লাশি দল গ্রামের যে জায়গায় ওই দম্পতি বসবাস করেন, সেখানে যান৷ ঐ বাড়ির বাইরে আরও ৬টি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিলো মৃতদেহগুলো৷
সাবেক মেয়র ডেনিয়েল কলিগনঁ বলেন, ‘‘প্রচণ্ড এক ধাক্কা খেয়েছি আমি৷ অথচ এ গ্রামটি বেশ শান্ত ও অনেক ভেতরে৷'' প্রতিবেশীরাও অবাক হয়েছেন৷ প্রতিবেশীদের একজন বলেন, দুজনই গ্রামের অন্যান্য মানুষের মতোই সাধারণ, স্বাভাবিক৷ এমনকী গ্রামের জীবনে নানা রকমের ভূমিকা রাখেন৷ অন্যজন বলেন, ‘‘এটা বিশ্বাসই করা যায়না৷''
আরেকজন প্রতিবেশী বলেন, ‘‘তারা ভদ্র, ভালো মানুষ৷ সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ তারা কীভাবে এটা করতে পারে ! নিশ্চয়ই কোনো অস্বাভাবিকতা রয়েছে৷''
স্থানীয় একজন জানান, দম্পতির দুই কন্যা আছে৷ ঐ গ্রামেরই ১৭ বছর বয়সি লাউরা ও কার্লেন্স বলে, মেয়ে দু'টো খুবই ভালো৷ তার মা সম্পর্কে গ্রামের এক মেয়ের মন্তব্য: ‘‘মা চুপচাপ মানুষ৷ তার দ্বারা খারাপ কিছু হতে পারেনা৷''
প্রতিবেশীরা আরও জানান, ১৫ বছর ধরে তারা এ গ্রামটিতে বাস করছেন৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক