এবার নজরদারিতেও এসএমএস
১১ আগস্ট ২০১৪জার্মানির পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির মুঠোফোন ‘নিরব' বা ‘অদৃশ্য' এসএমএস পাঠিয়ে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে৷ সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছে সরকার৷
চলতি বছর জার্মানির চারটি নিরাপত্তা সংস্থা বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে দেড়লাখের বেশি ‘অদৃশ্য' এসএমএস পাঠিয়েছে৷ এই এসএমএস যার নম্বরে পাঠানো হয়, তার মোবাইল তা প্রদর্শন করতে পারেনা৷ তবে মোবাইলটি এসএমএস রিসিভ করায় সেটির অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়৷ এরপর মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা অবস্থায় মোবাইলের মালিকের গতিবিধির দিকে নজর রাখা যায়৷
জার্মানির ফেডারেল পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগের বামপন্থি বিরোধী দলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রশ্নের জবাবে এ সব তথ্য জানা গেছে৷
জার্মানিতে সাধারণত কারো উপর নজরদারি চালাতে গেলে সুনির্দিষ্টভাবে সংসদীয় কমিটি জি১০-এর অনুমতির প্রয়োজন হয়৷ জার্মান সংবিধানের ‘প্যারাগ্রাফ ১০' অনুযায়ী ডাক এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় নজরদারি নিষিদ্ধ৷
বাম দলের সাংসদ আন্দ্রেজ হুনকো জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ‘স্পাই-এসএমএস'-এর পরিমাণ দেখে তিনি উদ্বিগ্ন৷
সরকারি হিসেবে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এরকম ১২৫,০০০ বার্তা পাঠানো হয়েছিল৷ আর চলতি বছর জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ভিএফএস ৫৩,০০০ এ রকম ম্যাসেজ পাঠিয়েছে৷ জার্মান ফেডারেল পুলিশের পাঠানো ‘স্পাই-এসএমএস'-এর সংখ্যা ৬৯,০০০ এবং বিকেএ পাঠিয়েছে ৩৪,০০০ এসএমএস৷
প্রসঙ্গত, জার্মানির কারো উপর নজরদারির বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর৷ গত শতকের ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে নাৎসি শাসকরা এবং পরবর্তীতে সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির স্ট্যাসি পুলিশের কর্মকাণ্ড নজরদারির বিষয়টি ভয়াবহ আতঙ্কে পরিণত করে৷
এআই/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)