ধানক্ষেত যখন ছবির ক্যানভাস
থাইল্যান্ডের এক কৃষক ধানক্ষেতে এমন কাজ করেছেন যা হাজার হাজার পর্যটককে আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ধানের দেশে
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ড ধান উৎপাদন আরো বাড়াচ্ছে৷ চলতি বছর মোট ৮৫ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল তা অর্জন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা৷
ধানক্ষেতে বিড়াল!
কারখানা শ্রমিক তানিয়াপং জাইখাম মাঝেমাঝে চাষবাসও করেন৷তবে সম্প্রতি ধানক্ষেতে যে কাজ করেছেন তা সাধারণ কোনো কৃষকের কাজ নয়্৷সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায এক হেক্টর জমিতে বিড়াল এঁকেছেন তিনি!
ধানক্ষেতে কেন ছবি?
তানিয়াপং জাইখাম ধানক্ষেতে ছবি এঁকেছেন বড় একটা আশা নিয়ে৷ তার আশা- থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াং রাই-এর জমিতে বিশাল ঘুমন্ত বিড়ালের ছবি দেখতে হাজার হাজার পর্যটক, বিড়ালপ্রেমী, শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার্থী আসবেন৷ ৩০ ডিসেম্বর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে পুরো ধানক্ষেত৷ সবাই এসে যাতে অভিনব উপায়ে আঁকা বিড়ালের ছবি দেখতে পারেন সেজন্য চারপাশে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করছেন তানিয়াপং জাইখাম ৷
মাটির ক্যানভাসে ধানগাছে ‘আ্ঁকা’ ছবি
থাইল্যান্ডে এক ধরনের ধানগাছের পাতা সবুজ, হলুদ, গাঢ় মেরুন বা আরো কিছু রঙের হয়ে থাকে৷রেইনবো নামের সেই ধানের পাতার রঙেই প্রায় এক হেক্টর জমিতে ঘুমন্ত তিন বিড়ালের ছবি এঁকেছেন তানিয়াপং জাইখাম৷
যেভাবে ধানক্ষেত হলো বিশাল ছবি
জিপিএস আর ড্রোনের সহায়তায় প্রথমে ওপর থেকে একটা স্কেচ এঁকে নিয়েছিলেন তানিয়াপং জাইখাম৷ পরে সেই স্কেচ অনুযায়ী একেক জায়গায় একেক রঙের রেইনবো ধানের বীজ বুনে দেন৷ বীজ থেকে বের হয়ে গাছ যত বড় হয়েছে তত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিড়ালের ছবি৷ এখন সেই বিড়াল প্রদর্শনের অপেক্ষায়৷ তানিয়াপং জাইখাম আশা করছেন ৩০ ডিসেম্বরের পর অন্তত ১০ হাজার মানুষ সেখানে যাবেন ধানক্ষেত আর বিড়ালের ছবি দেখতে৷