সৌরশক্তি
১০ এপ্রিল ২০১২এই লক্ষ্যে ক'দিন আগে গঠিত হয়েছে সৌরশক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানদের সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ সোলার এ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশন'' বা বিএসআরইএ৷ এর সভাপতি হয়েছেন দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, যিনি বাংলাদেশে সৌরশক্তি জনপ্রিয় করার অন্যতম কারিগর৷ সংগঠন তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দিনদিন সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে৷ এখন প্রতিমাসে প্রায় ৪০ হাজার ‘সোলার হোম সিস্টেম' বিক্রি হচ্ছে৷ পনের বছর আগে শুরুর সময় যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র দু'তিনশ৷ সে হিসেবে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি লোক এভাবে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে৷
বড়ুয়া বলেন, বিএসআরইএ'র লক্ষ্য সৌরশক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো৷ ‘‘এজন্য সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে৷ সৌরশক্তি সিস্টেম বসানোর জন্য ঋণ দেয়া, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা ও তার গুনগত মান পরীক্ষা, এ ধরণের যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠান বানানো ইত্যাদি লক্ষ্য কাজ করবে আমাদের সংগঠন,'' জানালেন হামবুর্গ ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ফিউচার কাউন্সিলের সদস্য বড়ুয়া৷ সৌরশক্তিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যে নানান আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন৷
গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম এই উদ্যোক্তা দীপাল বড়ুয়া বলেন, সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ায় প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান করা গেছে৷ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেন আরও তরুণকে এই কাজে লাগানো যায় সেজন্য একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷
‘সোলার হোম সিস্টেম' চালুর জনক গ্রামীণ শক্তির প্রতিষ্ঠাতা দীপাল বড়ুয়া বলেন, এখন এই পদ্ধতিটা শুধু গ্রামে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ তবে শহরেও যেন এটা চালু করা যেতে পারে সে চেষ্টা চলছে৷ এজন্য পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ এর ফলাফল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে যেন শহরে ভবন তৈরির সময় সোলার হোম সিস্টেম কাজে লাগানো যায়৷
বড়ুয়া বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারে জার্মানিকে বিশ্বের রাজধানী বলা যেতে পারে৷ তাই জার্মানি যেন বাংলাদেশকে সৌরশক্তি খাতে সহায়তা করে সে জন্যও চেষ্টা চালানো হবে৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন আলোচনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জার্মান সরকারের আগ্রহ দেখা গেছে৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন