দূতাবাসে হামলার জবাবে সৈন্য পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা
১ জানুয়ারি ২০২০মঙ্গলবার বাগদাদে কাতায়েব হিজবুল্লাহ আক্রমণ চালিয়েছিল মার্কিন দূতাবাসে৷ বুধবার তারই প্রতিক্রিয়ায় ইরাক এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে আরও ৭৫০ জন সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল অ্যামেরিকা৷ যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির আশঙ্কা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার৷ অ্যামেরিকার দাবি ইরাকে তাদের এক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিগোষ্ঠী৷ যার জেরে এক মার্কিন ডিফেন্স কন্ট্রাক্টর নিহত হন৷ জবাবে ওই জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ করে বিমান হামলা চালায় অ্যামেরিকা৷ কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ওই জঙ্গিরাও৷ প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়৷ এরপরেই মঙ্গলবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস আক্রমণ করে তারা৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকশ লোক ওই দিন জড়ো হন মার্কিন দূতাবাসের সামনে৷ অ্যামেরিকা এবং ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা এগিয়ে যান দূতাবাসের মূল দরজার দিকে৷ দূতাবাস অবশ্য ঘিরে রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনী৷ কিন্তু তাদের উপেক্ষা করেই দূতাবাসের একেবারে সামনে পৌঁছে যান প্রতিবাদীরা৷ ঢিল ছোড়া হয় দূতাবাস লক্ষ করে৷ আগুন ধরানোরও চেষ্টা হয়৷ উত্তরে কাঁদানে গ্যাস এবং গ্রেনেড ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী৷ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি৷
ঘটনার পরেই টুইট করে ওই জঙ্গি গোষ্ঠাকে হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ জানিয়ে দেন, যারা ওই গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে, তাদেরও ফল ভুগতে হবে৷ বোঝাই যাচ্ছে ট্রাম্পের নিশানায় ইরান৷
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়, বহু দিনের মধ্যে বিশ্বের কোনও মার্কিন দূতাবাসে এত বড় হামলা হয়নি৷ এর পরেই গাল্ফ অঞ্চলে নতুন করে সৈন্য পাঠানোর বার্তা দেয় পেন্টাগন৷ দুই একদিনের মধ্যেই ৭৫০ জন সৈন্য সেখানে পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে৷ আপাতত মধ্য প্রাচ্যে ১৪ হাজার মার্কিন সৈন্য আছে৷
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নতুন করে সেখানে সৈন্য পাঠিয়ে ট্রাম্প প্রতি আক্রমণের বার্তা দিলেন৷ ইরান এবং ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিও যদি এ ভাবে উত্তর দিতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হবে৷
এসজি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, এপি)