দুর্নীতিতে ১৪তম বাংলাদেশ, পাঠকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
৩ ডিসেম্বর ২০১৪ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতার অনুসারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘‘বিশ্বের ১৪তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ৷ দুর্নীতিতে বাংলাদেশের এই অবস্থান কি প্রত্যাশিত?''
বেশ কয়েকজন পাঠক এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন৷ মো. খালেদ হাসান লিখেছেন, ‘‘যারা টানা চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, তাদের জন্য ১৪তম হওয়াটা বেশ ভালো৷ তবে আমার ধারণা এর পিছনে বাংলাদেশের চেয়ে অন্য দেশগুলোর অবদান বেশি৷ মানে বাংলাদেশে সেই অর্থে দুর্নীতি কমেনি বরং অন্য দেশগুলোর দুর্নীতি বেড়েছে৷ তাই বাংলাদেশের অবস্থান আজ ১৪তম৷''
ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক নিজাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য এটা ভালো খবর বলা যায়৷ কেননা এর আগে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে সেঞ্চুরি করেছে৷'' সারাহ ইসলাম মনে করেন, ‘‘অবশ্যই দুর্নীতি থেকে বাংলাদেশ আগের অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে৷ এটা অবশ্যই ভালো দিক৷ বিগত বছরগুলোতে টানা প্রথম অবস্থানে ছিল৷ আশা করি দুর্নীতির তালিকায় আর বাংলাদেশের নাম থাকবে না ভবিষ্যতে৷''
হাবিবুন নবী শাওন অবশ্য ভিন্নমত পোষন করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার পায় না, যে দেশে অবৈধভাবে সরকার পরিচালিত হচ্ছে, সেই দেশ থেকে এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না৷''
মোহাম্মদ সোহেল মিয়া মনে করেন, ‘‘কিছুই বলার নাই৷ আমাদের লজ্জা লাগলেও যারা বা যে দল দুর্নীতি করে তাদের লজ্জা লাগবে না৷ আর বিপরীত দলের অবস্থাতো আরও খারাপ৷ তারা এইটা মাইকে ঢালাওভাবে প্রচার করবে৷ তখন আমাদের মতো আমজনতার অবস্থা হয় শরীরের চামড়া কেটে লবণ লাগিয়ে দেয়ার মতো৷
ফেসবুকে ডয়চে ভেলের অনুসারী কাওসার আহমেদ লিখেছেন, ‘‘কেউ এই অবস্থা প্রত্যাশা করে না৷ আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না, বরং আরও আবনতি হবে৷'' আর লকিব হোসেন লিখনের কথা হচ্ছে, ‘‘যেখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি হচ্ছে, সেখানে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা নিরর্থক!''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ