1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুবাইয়ে হামাস নেতা হত্যার প্রশংসায় মুখ খুললেন লিভনি

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

দুবাইতে হামাস নেতা হত্যার ঘটনার পর মুখে কুলুপ আঁটা ইসরায়েলের এক নেত্রী মুখ খুললেন অবশেষে৷ বিরোধী নেত্রী সিপি লিভনি হামাস নেতা হত্যার ঘটনার প্রশংসা করে বললেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্যই এই হত্যাকান্ডকে সমর্থন করা উচিত৷

https://p.dw.com/p/M9ZZ
ঘটনাটা আসলে সন্ত্রাসবাদ দমনের পর্যায়েই পড়ে, বলছেন লিভনিছবি: AP

দুবাইয়ের হোটেলে হামাস নেতা মাহমুদ আল মাহভুর হত্যাকান্ডকে ঘিরে যখন ইসরায়েল আর ইউরোপের মধ্যে টানটান কূটনৈতিক অবস্থা, তখন ইসরায়েলের বিরোধী নেত্রী লিভনি এই হত্যাকান্ডের প্রশংসা করলেন খোলাখুলি৷ জেরুসালেমে মঙ্গলবার এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে যান লিভনি৷ সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলে দেন, ঘটনা হল একজন সন্ত্রাসবাদী খুন হয়েছে৷ সে দুবাইতেই হোক বা গাজায়, সন্ত্রাস দমনের কাজ এতে এগিয়েই গেল৷

Nahost Mahmud al-Mabhuh Suspekte
দুবাই পুলিশের দেওয়া হত্যাকারী দলের কয়েকজনের ছবিছবি: picture alliance/dpa

লিভনি বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও এই খুনের ঘটনা নিয়ে জলঘোলা এখন চরমে৷ দুবাইয়ের একটি হোটেলে গত ২০ জানুয়ারি শ্বাসরোধ করে এবং ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয় হামাসের মিলিটারি উইং-এর স্থপতি মাহমুদ আল মাহভুকে৷ এই হত্যাকান্ডের পর হোটেলের সিকিওরিটি ক্যামেরা থেকে ১৮ জন হত্যাকারীর ছবি মেলে৷ দুবাই জানায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দাবাহিনী মোসাদের এই হত্যাকারী দলটির সকলের কাছেই ছিল জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের জালি পাসপোর্ট৷ এই অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসে ইউরোপ৷ পাসপোর্ট জালি করার তীব্র নিন্দা করলেও ইসরায়েলের মোসাদ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন ইইউ-র নেতারা৷

ইসরায়েলের তরফে দুবাইয়ের আনা এই অভিযোগের জবাবে এ পর্যন্ত কোন মন্তব্যই শোনা যায়নি৷ বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারমান বলেছেন, ইসরায়েল এই নিয়ে একটি কথাও বলবে না৷ অভিযোগ স্বীকারও করবে না, অস্বীকারও করবে না৷ কিন্তু প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বর্তমানে ইসরায়েলি সংসদ নেসেট-এ বিরোধী কাদিমা দলের শীর্ষনেত্রী সিপি লিভনিই প্রথম ইসরায়েলি কোন শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন৷

প্রতিবেদক: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়, সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম