শিশুদের বৃক্ষ আলিঙ্গন
৮ জুন ২০১৪কেবল স্কুল শিশুরা নয়, আইনপ্রণেতা, পেশাজীবী, এমনকি বুদ্ধ ভিক্ষুরাও গত বৃহস্পতিবার কাঠমাণ্ডুর বাইরে শান্তি উদ্যানে জড়ো হয়েছিলেন এই উদ্যোগে শামিল হতে৷
এ উদ্যোগের সমন্বয়ক থানেশ্বর গুরাগাই বলেন, ‘‘আমরা নতুন গিনেস রেকর্ড গড়তে চেয়েছি৷ পাশাপাশি সবাইকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছি যে মানুষের বেঁচে থাকার স্বার্থেই গাছ বাঁচানো জরুরি৷''
‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস'-এ বৃক্ষ আলিঙ্গনের আগের রেকর্ডটি হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে৷ যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনে ৯৩৬ জন অংশগ্রহণকারী একসঙ্গে বৃক্ষকে আলিঙ্গন করে ওই রেকর্ড গড়েন৷ আর নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টায় নেপালের স্বেচ্ছাসেবীরা বৃহস্পতিবার পাহাড়ের ঢালে শান্তি উদ্যানের গাছে গাছে বুক মিলিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পুরো দুই মিনিট৷ নেপালের ২০ জন সংসদ সদস্যও শিশুদের সঙ্গে মিলে বৃক্ষ আলিঙ্গনে অংশ নেন৷
রাজন কে সি তাঁদেরই একজন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে বৃক্ষ আর বন রক্ষার দাবি নিয়ে আমরা আজ এখানে এসেছি৷ মানব সভ্যতার জন্য গাছ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ- সে বিষয়েও আমরা মানুষে সচেতন করতে চাই৷''
নবম শ্রেণির ছাত্রী গঙ্গা পণ্ডিত জানায়, সে এর আগে বিভিন্ন বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশ নিয়েছে৷ কিন্তু রেকর্ড গড়ার এই উদ্যোগে সে অংশ নিতে এসেছে, কেননা পুরনো গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখাটাও জরুরি৷
উদ্যোক্তারা এখন বৃক্ষ আলিঙ্গনের ছবি, ভিডিও এবং নেপালি সাংসদদের সইসহ বিবৃতি পাঠাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে৷ সব বিচার বিশ্লেষণ করে গিনেস কর্তৃপক্ষ জানাবে, নেপালীদের চেষ্টা সফল হয়েছে কিনা৷
জেকে/ডিজি (এপি, এএফপি)