1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিপিএস-এর মতো ব্যবস্থা গ্যালিলিও

২২ মে ২০১৭

জিপিএস ন্যাভিগেশন ব্যবস্থার কল্যাণে অতি সাধারণ স্মার্টফোনের পর্দায়ও আজকের নিজের অবস্থান দেখা যায়৷ এ ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে আসরে নামছে ইউরোপের গ্যালিলিও৷

https://p.dw.com/p/2dLYK
Galileo Satellitensystem
ছবি: ESA/Illustration: Pierre Carril

মহাকাশ থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে নিখুঁত অবস্থানের কল্যাণে আজ জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে নিরাপদে পথ চেনা কত সহজ হয়ে পড়েছে৷ ন্যাভিগেশন সিস্টেম আজ সব জায়গায় কাজে লাগছে৷ মার্কিন ‘গ্লোবাল পোজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস স্যাটেলাইটগুলি থেকে অবস্থান সংক্রান্ত তথ্যগুলি আসে৷

এই একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে ইউরোপ ‘গ্যালিলিও’ নামের নিজস্ব ন্যাভিগেশন সিস্টেম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ জিপিএস-এর তুলনায় এই স্যাটেলাইটগুলির সিগনাল আরও শক্তিশালী৷ তাছাড়া আরও বেশি ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ফলে গোটা বিশ্বে আরও নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্যভাবে অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব৷

জার্মানিতে গ্যালিলিও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের এক টিম গোটা ব্যবস্থার উপর নজর রাখছে৷ এয়ারোস্পেস প্রযুক্তিবিদ ক্রিস্টিয়ান আরবিঙার বলেন, ‘‘২০১১ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রথম দু'টি স্যাটেলাইট ওড়াচ্ছি এবং এখানে আমাদের টিম সেগুলিকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে৷’’

আগামী ২ বছরে এই কনট্রোল সেন্টার ১৮টি গ্যালিলিও স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে সেগুলি চালু করবে৷ বিশাল এই প্রকল্পের প্রস্তুতির জন্য প্রায় ১০০ ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীর এক দল কাজ করছে৷ ক্রিস্টিয়ান আরবিঙার বলেন, ‘‘স্যাটেলাইটগুলি নিরাপদে ওড়ানো আমাদের মূল কাজের মধ্যে পড়ে৷ উৎক্ষেপণের পর আমরা স্যাটেলাইটের দায়িত্ব নিয়ে যত্ন করে সিস্টেম পরীক্ষা করি৷ পরীক্ষা সফল হলে স্যাটেলাইটগুলিকে রুটিন কাজে লাগাই৷ তারা তখন গ্যালিলিও সিস্টেমের জন্য ন্যাভিগেশন তথ্য সৃষ্টি করে৷’’

প্রাথমিক যান্ত্রিক সমস্যার পর সবকিছু প্রায় নিখুঁতভাবে শুরু হয়েছে৷ রাশিয়ার এক রকেট ২০১১ সালে প্রথম গ্যালিলিও স্যাটেলাইটগুলি মহাকাশে পাঠিয়েছে৷ ২০,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছালে একটি স্যাটেলাইট বাকিগুলির সঙ্গে এক নেটওয়ার্কে যোগ দেয়৷ পৃথিবীর বুকে এক সেন্টিমিটারও তাদের নজর এড়ায় না৷

২০২০ সালের মধ্যে মোট ৩০টি গ্যালিলিও স্যাটেলাইট মিলে পৃথিবীর বুকে বিনামূল্যে দিকনির্ণয় সম্ভব করবে৷ ততদিন পর্যন্ত এই বিশাল কর্মসূচির জন্য ৫০০ কোটি ইউরোর বেশি ব্যয় হবে৷ কিন্তু তার বদলে এক নিখুঁত ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা পাওয়া যাবে৷