যুক্তরাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়ে ধরা খেল জার্মানি
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ফল্কসভাগেন (বানানভেদে ফোক্সভাগেন) তাদের কয়েকটি মডেলের ডিজেল গাড়ির কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দেয়ায় দূষণ পরীক্ষার সময় গাড়িটি কম হারে বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ত৷ অর্থাৎ গাড়িটি যে পরিবেশের জন্য ভালো সেরকম একটি ধারণা দিত – যা আসলে ঠিক নয়৷ পরীক্ষা শেষে গাড়িটি যখন কোনো ব্যবহারকারী রাস্তায় নামাতো, তখন দেখা যেত গাড়িটি এমন হারে গ্যাস ছাড়ছে যেটা নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশি! মার্কিন ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি' বা ইপিএ সম্প্রতি ফল্কসভাগেনের এই প্রতারণা ধরে ফেলে৷ ইপিএ-র হিসেবে, ফল্কসভাগেন ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি মডেলের প্রায় চার লক্ষ ৮২ হাজার গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে, যেগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিক্রির জন্য ছাড়পত্র পেয়েছিল৷
বার্তা সংস্থা এএফপি-র এই টুইটে প্রতারণার বিষয়টি ভালো করে উপস্থাপন করা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, গাড়ি থেকে যে পরিমাণ নাইট্রোজেন অক্সাইড বের হয় সেটা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে৷
ফল্কসভাগেন কর্তৃপক্ষ মার্কিন সংস্থা ইপিএ-র অভিযোগ স্বীকার করেছে৷ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এ জন্য ক্রেতাদের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছে৷
এদিকে, ফল্কসভাগেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়৷
জার্মানি বলেছে, তারা তদন্ত করে দেখছে ফল্কসভাগেন কি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই এমন প্রতারণা করেছে, নাকি জার্মানি সহ ইউরোপেও করেছে? শুধু ফল্কসভাগেন নয়, অন্য গাড়ি নির্মাতাদের বিষয়টিও তদন্ত করছে জার্মানি৷
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী মনে করেন, ইউরোপ জুড়ে যত গাড়ি নির্মাতা আছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করা উচিত৷
জার্মানির এক কোম্পানি এমন করায় ‘মেড ইন জার্মানি' ব্র্যান্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ৷
অবশ্য জার্মানির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল মনে করেন, ফল্কসভাগেনের ঘটনায় জার্মান প্রযুক্তির খ্যাতি ম্লান হবে না৷
ফল্কসভাগেন ইতিমধ্যে এই প্রতারণার মূল্য দেয়া শুরু করেছে৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন