1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জনমত আরো বাড়াবো আমরা’

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

সাধারণ মানুষের কাছে যেতে এবং দল গোছাতে নতুন বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সম্মেলন করবে আওয়ামী লীগ৷ এছাড়া আগামীতেও বিএনপির কর্মসূচি কঠোরহাতে দমন করবে ক্ষমতাসীন এই দলটি৷ জানান দলের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল-আলম হানিফ৷

https://p.dw.com/p/1HVjc
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ছবি: AP

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সম্মেলন, বিএনপির কর্মসূচির জবাবে আওয়ামী লীগ কী ধরনের কর্মসূচি দেবে – এ সমস্ত বিষয়ে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল-আলম হানিফ৷

ডিডাব্লিউ: পৌর নির্বাচনের পরই নতুন বছর শুরু হচ্ছে৷ নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্লানিংটা কী রকম?

স্বাধীনতার পর দেশের ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল৷ এ সময়ে মানুষের যে স্বপ্ন, যে চেতনা থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার – সেটা থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল৷ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷ আমাদের লক্ষ্য একটাই, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার৷

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ছিল ৫ জানুয়ারি৷ এই ৫ জানুয়ারি ঘিরে বিদায়ী বছর বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি দিয়েছিল আমরা দেখেছি৷ এতে কী হয়েছে দেশে সেটাও দেখেছি৷ এবার তারা এখনও কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি৷ তবে ভবিষ্যতে তারা যদি কোনো কর্মসূচি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে?

মাহবুব-উল-আলম হানিফ

দেখুন, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি তথাকথিত অবরোধের নামে বাংলাদেশের জনগণের উপর যে ধরনের সন্ত্রাস চাপিয়ে দিয়েছিল, যে রকম নাশকতা কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এর জন্য বাংলাদেশের জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ আমার বিশ্বাস, বিএনপি তার অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এই ধরনের নাশতামূলক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো কর্মসূচি আর দেবে না৷

কিন্তু এরপরেও যদি একই ধরনের কর্মসূচি আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে?

আমরা সন্ত্রাস ও নাশকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই৷ আমরা জনগণকে নিয়ে যেভাবে ৯০ দিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করেছি, ভবিষ্যতে এমন কর্মসূচি আসলে সেটাও কঠোর হস্তে দমন করা হবে৷

সামনের বছরটি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা, চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব – সকলেই বলছেন যে, নতুন বছরটি দল গোছানোর কাজে তারা ব্যবহার করবেন৷ তাঁরা তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দল গোছাতে চান, মানুষের কাছে যেতে চান৷ এ রকম কর্মসূচির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কী করতে চায়?

আমরা আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রে এসে একটা ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল' করি৷ বর্তমান আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে৷ তাই খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে সময় বাড়াব৷ আমাদের লক্ষ্য, নতুন বছরে শুরুতে, অর্থাৎ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল শেষ করার৷ ইতিমধ্যে তৃণমূল থেকে কাউন্সিল করেছি৷ তাছাড়া জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলও প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ আর মাত্র দু-চারটা জেলা বাকি আছে, যেটা আমরা আগামী মাসের মধ্যেই করতে সক্ষম হবো৷ আমাদের লক্ষ্য থাকবে, আমাদের পক্ষে যে জনমত আছে, সেটা আরো বাড়িয়ে নেয়া৷

প্রিয় পাঠক, গত দু’বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকে আপনি কীভাবে দেখছেন? মন্তব্য জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান