ফিলিপাইন্সে সামরিক আইন জারি
২৪ মে ২০১৭এদিকে, এই ঘোষণার পর মাউতে নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী ঐ এলাকার একটি গির্জায় ঢুকে পুরোহিতসহ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে৷
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে সরকার যে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে তাদের ফিরিয়ে না নিলে জিম্মিদের হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে৷
মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ফিলিপাইন্সের মারাউয়ি শহরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর সামরিক আইন জারি করা হয়৷ আবু সায়াফ জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা ইসনিলন হাপিলনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল৷ হাপিলন ফিলিপাইন্সে আইএস-এর প্রধান৷ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ধরার জন্য অর্ধকোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আবু সায়াফ ও মাউতে ছাড়াও বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে৷ এদের মধ্যে বিদেশিদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের জন্য পরিচিত আবু সায়াফ৷ তাছাড়া দেশটিতে চালানো কয়েকটি বড় হামলার জন্যও তাদের দায়ী করা হয়৷ ২০০৪ সালে একটি ফেরিতে হামলা চালিয়ে একশ' জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে আবু সায়াফ৷
ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক আইন জারির কথা অতীতে কয়েকবার বলেছিলেন৷ দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক অন্যতম চিন্তার কারণ আইএস বলেও জানিয়েছিলেন তিনি৷
দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেঞ্জানা বলেছেন, সামরিক আইন জারির কারণে নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অভিযোগ ছাড়াই তিনদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে৷
মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এই আইনের অপব্যবহারের আশংকা করছেন৷ এক্ষেত্রে তাঁরা স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের আমলের উদাহরণ দিয়েছেন৷ সেই সময় স্বৈর শাসকের সমালোচকদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল৷ তাদের ধরে নিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছিল৷
বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতার্তে জানিয়েছেন, তাঁর ঘোষণা করা সামরিক আইন ‘নিষ্ঠুর’ হবে এবং মার্কোসের মতোই হবে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)