দক্ষিণ এশিয়ার বিপজ্জনক জাহাজ কবরখানা
ভারত এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা পরিত্যক্ত জাহাজ ভাঙার সময় ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করেন৷ পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করায় শিপইয়ার্ডগুলোর মুনাফা বেশি হলেও শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন হয়৷
শ্রমিকদের পাশে কেউ নেই
চট্টগ্রামের এক শিপইয়ার্ডে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে এক তরুণকে৷ শিপইয়ার্ডে কাজ করা একচতুর্থাংশ শ্রমিকের বয়স ১৮ বছরের কম৷ তাসত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার সরকারেরা শিপইয়ার্ডের শ্রমিকদের অধিকার এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপেক্ষা করে থাকেন৷
শোষিত
তরুণ এবং শিশু শ্রমিকরা তাঁদের বয়স্ক সহকর্মীদের চেয়ে বেশিক্ষণ কাজ করলেও, কম পয়সা মজুরি পান৷
অরক্ষিত
শ্রমিকদের হেলমেট, নিরাপত্তা জুতা বা চশমা দেওয়া হয় না৷ ফলে মাঝেমাঝেই বড় ধরনের ইনজুরির শিকার হন তাঁরা৷
পুড়ে যাওয়া শ্রমিক
চট্টগ্রাম হাসপাতালে সেজু৷ একটি জাহাজ ভাঙার সময় তাতে আগুন লেগে গেলে মারাত্মকভাবে পুড়ে যান তিনি৷
পঙ্গুত্ব
সাবেক শ্রমিক শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ করতে গিয়ে তাঁর এক পা হারান৷
বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত
শুধু যে শ্রমিকরা ভুগছেন, তা নয়৷ শিপইয়ার্ডের আশেপাশের এলাকার মাটি এবং ভূপৃষ্ঠের নীচে থাকা পানিও ভারী তেল, সীসা এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে এসে দূষিত হয়ে যাচ্ছে৷
পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন নেই
শিপইয়ার্ডের আশেপাশের ইকোসিস্টেম এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেখানে কৃষি কাজ করা বা মাছ ধরা প্রায় অসম্ভব এখন৷
অভিবাসী শ্রমিক
ভারতের আলং শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের অবস্থান৷ তবে এখানে কাজ করা প্রায় সব শ্রমিকই উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে৷ ২০০৯ সাল থেকে এখন অবধি এই ইয়ার্ডে ২,৬০০ শিপ ভাঙা হয়েছে৷
এক সংযত জীবন
এরপর ছোট ছোট কুঁড়েঘরে শ্রমিকরা থাকেন, যেখানে বিদ্যুৎ বা নিয়মিত পানি সাপ্লাইয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই৷
পর্যটকদের ভিড়
শিপব্রকেং ইয়ার্ডগুলো শুধু যে শ্রমিকদের আকৃষ্ট করে, তা নয়৷ এমনকি পর্যটকরাও এখানে আসেন ভেঙে ফেলা জাহাজগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে৷