ত্রিপোলিতে লড়াই অব্যাহত
২৩ আগস্ট ২০১১সর্বশেষ অবস্থা
জার্মান সময় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত যা খবর, তাতে ত্রিপোলির কমপক্ষে দুটি এলাকায় যুদ্ধ চলছে৷ গাদ্দাফিপন্থী বা সরকারি সেনাদের দখলে থাকা একটি হোটেলের আশেপাশে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে৷ আর মুয়াম্মার গাদ্দাফি’র বাব আল-আজিজিয়া প্রাসাদ ঘিরে রেখেছে বিদ্রোহীরা, এমন এক খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা৷ এই সংবাদমাধ্যম আরো দাবি করেছে, গাদ্দাফির প্রাসাদ লক্ষ্য করে মঙ্গলবার বিমান হামলাও চালিয়েছে ন্যাটো৷ তবে, ত্রিপোলির প্রকৃত অবস্থা একেবারে নিশ্চিত করে জানাতে পারছে না কোন পক্ষই৷
হোটেলে সাইফ!
মঙ্গলবার ভোররাতে রীতিমত সবাইকে বিস্মিত করে ত্রিপোলির একটি হোটেলে হাজির হন সাইফ আল-ইসলাম৷ লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি’র সমর্থকদের দখলে থাকা হোটেল রিক্সস-এ অবস্থান করছেন বিদেশি সাংবাদিকরা৷ তাদের সঙ্গে দেখা করে সাইফ বলেন, বিদ্রোহীদের ‘মেরুদণ্ড’ ভেঙে দিয়েছি আমরা৷ চলমান যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ত্রিপোলি আক্রমণ করে কার্যত ফাঁদে আটকা পড়েছে বিদ্রোহীরা৷
৩৯ বছর বয়সি সাইফকে গাদ্দাফি’র উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ রিক্সস হোটেলে অবস্থানকারী বিবিসি’র এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, সাইফকে বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং উচ্ছ্বাসপূর্ণ মনে হচ্ছিল৷ মুয়াম্মার গাদ্দাফি বর্তমানে ত্রিপোলিতে অবস্থান করছেন এবং সুস্থ আছেন বলেও দাবি করেছেন সাইফ৷ এছাড়া ত্রিপোলি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি৷
বিদ্রোহীদের দাবি
লিবিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান মোস্তফা আব্দুল জলিল সোমবার বলেছিলেন, ‘‘ত্রিপোলির ৯৫ শতাংশের বেশি এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে৷ গাদ্দাফির সব সেনারা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে’’৷ এখন অবশ্য বিদ্রোহীরা বলছে, সাইফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তিনি কিভাবে মুক্ত হলেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না৷
ন্যাটো’র প্রতিক্রিয়া
ন্যাটো মুখপাত্র কর্নেল রোলান্ড লাভয় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, মুয়াম্মার গাদ্দাফি ন্যাটোর লক্ষ্য নয়৷ তবে, লিবিয়ার সরকারি বাহিনীর নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে বিমান হামলা চালাচ্ছে ন্যাটো৷ এসব কেন্দ্রের কোনটিতে গাদ্দাফি’র অবস্থান জানা গেলেও হামলা অব্যাহত রাখবে ন্যাটো৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক