তুর্কি-কুর্দি শান্তি
২২ মার্চ ২০১৩কুর্দিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ১৯৮৪ সাল থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম করে আসছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি – পিকেকে৷ দলটি গঠন করা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে৷ যাঁর আহ্বানে, যাঁর উদ্যোগে দলটি সংগ্রামের মাধ্যমে লড়াইয়ে নেমেছিল সেই আব্দুল্লাহ ও্যচালান এখনো তু্রস্কে কারাবন্দি৷ তবে তুর্কি সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসায় শুধু তাঁর মু্ক্তিই নয়, কুর্দিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনেরও সম্ভাবনা জেগেছে৷
বৃহস্পতিবার ও্যচালান তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পিকেকে সদস্যদের উদ্দেশে অস্ত্র ছেড়ে শান্তি পথে পা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘অস্ত্রগুলো নীরব রেখে চলুন এবার রাজনীতিকে প্রাধান্য বিস্তার করার সুযোগ দেই৷'' ‘রাজনীতি' বলতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকে-র নেতা যে কল্যাণকর, শান্তি প্রত্যাশী রাজনীতিকেই বোঝাতে চেয়েছেন তা বলাই বাহুল্য৷ তো তাঁর এ আহ্বানে সাড়াও এসেছে বেশ৷ তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে তুর্কিদের নববর্ষ উদযাপনের সময় জানানো ও্যচালানের আহ্বানের পরই পিকেকে কমান্ডার মুরাত কারাইলান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য তারা প্রস্তুত৷ তবে তাঁর ঘোষণায় অন্য ইঙ্গিতও ছিল৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সবার বোঝা উচিত পিকেকে শান্তির জন্য যতটা, ঠিক ততটাই যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত৷''
একটা পর্যায় পর্যন্ত তাই শান্তি স্থাপন নিয়ে কিছু আশঙ্কা তাই থাকছেই৷ তবে আশার কথা হলো, রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগি করাতেও আংশিক সম্মতি দিয়েছে৷ এখান থেকে শান্তির পথে যাত্রা শুরু করা সম্ভব – এইটুকু মানলেও তুরস্কের বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে সংশয় আছে৷ তাঁরা কুর্দিদের সঙ্গে এখনো শান্তি স্থাপিত না হওয়ায় এর্দোয়ানকেই দায়ী মনে করেন৷ তাঁদের মতে, এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এর্দোয়ান, এতদিনে চাইলে অনেক দূর এগোনো যেত, সেটা যে সম্ভব হয়নি এটা একান্তই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা৷