1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুর্কি-কুর্দি শান্তি

আয়ান সিমসেক/এসিবি২২ মার্চ ২০১৩

কমপক্ষে ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যুর পর শান্তি ফেরানোর সুযোগ৷ তুরস্ক সরকার এবং কুর্দিদের কেউ এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে কেন? বন্দি নেতা আব্দুল্লাহ ও্যচালানের আহ্বানের ফলে দেখা দেয়া আশার আলোকে তাই আর ক্ষীণ মনে হচ্ছেনা৷

https://p.dw.com/p/182Ws
Demonstrators hold Kurdish flags and flags with portraits of jailed Kurdistan Workers Party (PKK) leader Abdullah Ocalan during a gathering to celebrate Newroz in the southeastern Turkish city of Diyarbakir March 21, 2013. Ocalan ordered his fighters on Thursday to cease fire and withdraw from Turkish soil as a step to ending a conflict that has killed 40,000 people, riven the country and battered its economy. Hundreds of thousands of Kurds, gathered in the regional centre of Diyarbakir, cheered and waved banners bearing Ocalan's moustachioed image when a letter from the rebel leader, held since 1999 on a prison island in the Marmara Sea, was read out by a pro-Kurdish politician. REUTERS/Umit Bektas (TURKEY - Tags: POLITICS CIVIL UNREST) ags: POLITICS CIVIL UNREST TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

কুর্দিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ১৯৮৪ সাল থেকে সশস্ত্র সংগ্রাম করে আসছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি – পিকেকে৷ দলটি গঠন করা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে৷ যাঁর আহ্বানে, যাঁর উদ্যোগে দলটি সংগ্রামের মাধ্যমে লড়াইয়ে নেমেছিল সেই আব্দুল্লাহ ও্যচালান এখনো তু্রস্কে কারাবন্দি৷ তবে তুর্কি সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসায় শুধু তাঁর মু্ক্তিই নয়, কুর্দিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনেরও সম্ভাবনা জেগেছে৷

Global Vienna Forum 2013 Erdogan
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানছবি: picture alliance/APA/picturedesk.com

বৃহস্পতিবার ও্যচালান তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়াসহ বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পিকেকে সদস্যদের উদ্দেশে অস্ত্র ছেড়ে শান্তি পথে পা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘অস্ত্রগুলো নীরব রেখে চলুন এবার রাজনীতিকে প্রাধান্য বিস্তার করার সুযোগ দেই৷'' ‘রাজনীতি' বলতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকে-র নেতা যে কল্যাণকর, শান্তি প্রত্যাশী রাজনীতিকেই বোঝাতে চেয়েছেন তা বলাই বাহুল্য৷ তো তাঁর এ আহ্বানে সাড়াও এসেছে বেশ৷ তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে তুর্কিদের নববর্ষ উদযাপনের সময় জানানো ও্যচালানের আহ্বানের পরই পিকেকে কমান্ডার মুরাত কারাইলান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য তারা প্রস্তুত৷ তবে তাঁর ঘোষণায় অন্য ইঙ্গিতও ছিল৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সবার বোঝা উচিত পিকেকে শান্তির জন্য যতটা, ঠিক ততটাই যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত৷''

Kurdish rebel leader Abdullah Ocalan poses in front of Turkish flags after he arrived at the prison island of Imrali, in the Marmara Sea near in this February 18, 1999 file photograph. Jailed militant leader Ocalan is set to call on his fighters to halt hostilities with Turkey on March 21, 2013 in a peace process which marks the best hope yet of ending a conflict that has killed 40,000 and handicapped the country for decades. REUTERS/Handout/Files (TURKEY - Tags: POLITICS CRIME LAW) ATTENTION EDITORS - THIS IMAGE WAS PROVIDED BY A THIRD PARTY. FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING
আব্দুল্লাহ ও্যচালানছবি: Reuters

একটা পর্যায় পর্যন্ত তাই শান্তি স্থাপন নিয়ে কিছু আশঙ্কা তাই থাকছেই৷ তবে আশার কথা হলো, রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগি করাতেও আংশিক সম্মতি দিয়েছে৷ এখান থেকে শান্তির পথে যাত্রা শুরু করা সম্ভব – এইটুকু মানলেও তুরস্কের বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে সংশয় আছে৷ তাঁরা কুর্দিদের সঙ্গে এখনো শান্তি স্থাপিত না হওয়ায় এর্দোয়ানকেই দায়ী মনে করেন৷ তাঁদের মতে, এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এর্দোয়ান, এতদিনে চাইলে অনেক দূর এগোনো যেত, সেটা যে সম্ভব হয়নি এটা একান্তই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য