1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে পুরনো বীজ

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২

রুশ বিজ্ঞানীরা ৩০ হাজার বছরের পুরনো বীজ থেকে চারা বের করতে সক্ষম হয়েছেন৷ এই বীজগুলো কাঠবিড়ালি সংরক্ষণ করেছিল৷ সাইবেরিয়ার চির তুষারের নিচে এই বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/147i1
ছবি: AP

যে বীজ বোনা হয়েছিল, সেই বীজের বৈজ্ঞানিক নাম সিলেন স্টেনোফিলা৷ ধারণা করা হচ্ছে এটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বীজ যা থেকে চারা বের করা হল৷ যে দুজন বিজ্ঞানী এর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তারা হলেন স্ভেটলানা ইয়াশিনা এবং ডাভিড গিলিচিন্সকি৷ তারা দুজনেই রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে কর্মরত৷

এই গবেষণা এবং সাফল্যের ফলে আশা করা হচ্ছে যে, যে সব প্রাণী এবং গাছ পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে সেগুলো হয়তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে৷ আর যেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, সেগুলোকেও সংরক্ষণ করা যাবে৷

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, চিরতুষার বা পার্মাফ্রস্টের কারণে হারিয়ে যাওয়া জিনও সচল করা সম্ভব৷ সেই সব জিন যা হারিয়ে গেছে এবং যা প্রাগৈতিহাসিক যুগের আগে পৃথিবীতে বিচরণ করছিল৷ ইসরায়েলে ‘ডেড সি' বা মৃত সাগরের কাছে অবস্থিত মাসাদা দুর্গে একটি খেজুরের বীজ পাওয়া গিয়েছিল৷ এই বীজ দুই হাজার বছরের পুরনো৷

বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, রেডিও-কার্বন পরীক্ষা চালিয়ে তারা জেনেছেন, যে বীজ থেকে চারা বের করা হয়েছে, তার বয়স ৩১ হাজার আটশো বছর৷ তা অবশ্য তিনশো বছর এদিক ওদিক হতে পারে৷

গতকাল রাশিয়ার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স জানিয়েছে, প্রায় ৭০টি কাঠবিড়ালি শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে এসব বীজ সংগ্রহ করেছিল৷ কাঠবিড়ালিগুলো বাস করতো কলিমা নদীর কাছে৷ তা রাশিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, অর্থাৎ সাইবেরিয়ার খুব কাছে৷ কাঠবিড়ালিগুলো কয়েক হাজার বীজ সংরক্ষণ করেছিল৷ এর মধ্যে ফুলের বীজ থেকে বিভিন্ন ফলের গাছও রয়েছে৷

কাঠবিড়ালির প্রতিটি গর্তই ছিল ৬৫ থেকে ১৩০ ফুট গভীর৷ এবং এর আশেপাশে বুনো হরিণ, গণ্ডার, ঘোড়া এবং বাইসনের হাড়গোড়ও পাওয়া গেছে৷ এসব প্রাণীর হাড় থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন প্রাণীগুলো প্রাগৈতিহাসিক যুগের৷

পার্মাফ্রস্ট এক প্রকার ডিপ ফ্রিজের ভূমিকা পালন করেছে এবং তা জেনেই কাঠবিড়ালিগুলো এই বিশাল ফ্রিজারে তাদের খাবার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করেছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য