তিন শতাংশে খুশি নয়, পুরো বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন
অনেক টালবাহানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন শতাংশ ডিএ দিতে রাজি হয়েছেন। কর্মীরা পুরো বকেয়া ডিএ চান।
তিন শতাংশে খুশি নয়
আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ পুরোটা দেয়ার দাবি করেছেন। রাজ্য তাদের তিন শতাংশ ডিএ দেয়ার পরেও কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে তাদের ডিএ-র ফারাক এখনো ৩৪ শতাংশ। কর্মীদের দাবি, বকেয়া আরো ৩৪ শতাংশ ডিএ তাদের দিতে হবে।
৩৫ সংগঠন একসঙ্গে
সরকারি কর্মীদের ৩৫টি সংগঠন একসঙ্গে যৌথ মোর্চা গঠন করেছে। তারা যেমন অবস্থান ধর্মঘট করেছে, তেমনই শুক্রবার তারা কলকাতায় বিধানসভা অভিযানও করে। দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন থামাতে চান না।
কেন অনড় কর্মীরা
আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, জিনিসের দাম সমানে বাড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে মানানসই ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মিত তাদের কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ডিএ দিতে গেলেই নানা টালবাহানা করছে।
রাজ্যের বক্তব্য
ডিএ নিয়ে বিরোধ এখন আদালতে গেছে। কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলার সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, কর্মীদের দাবি মেনে ডিএ দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, রাজ্য সরকারের হাতে ওই পরিমাণ টাকা নেই। কর্মীদের পুরো ডিএ মেটাতে গেলে সরকারের কোষাগার খালি হয়ে যাবে।
মন্ত্রীর দাবি
রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চট্টোপাধ্য়ায়ের দাবি ছি্ল, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পায় রাজ্য। সেই টাকা পেলে কর্মীদের ডিএ দিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু এই দাবি মানতে রাজি নন কর্মীরা। তাদের মত হলো, রাজ্য সরকার সব কাজ করছে, সব প্রকল্প চালাচ্ছে, তাতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। শুধু ডিএ দেয়ার ক্ষেত্রেই অসুবিধা হচ্ছে?
কর্মীদের প্রতিবাদ
এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীরা বিধানসভা অভিযান করেন। মিছিলে প্রচুর সরকারি কর্মী যোগ দেন।
থামিয়ে দেয়া হলো
তবে বিধানসভা পর্যন্ত তাদের যেতে দেয়া হয়নি। রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। জলকামানও তৈরি ছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করেননি।
এবার কী হবে?
সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্য সরকার আর বাড়তি ডিএ দিতে চায় না। আন্দোলনকারীরাও পিছু হঠতে রাজি নন। তারা অনশন ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। অনশন করতে গিয়ে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে চান।