বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ
১৭ অক্টোবর ২০১৪জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১৬ সেপ্টেম্বরের সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ' প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২,৯৬৮ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ১,৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা দেবে সরকার৷ বাকিটা ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং'-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে৷ এর মানে হলো, স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণের জন্য দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি কোম্পানি নির্ধারণ করা হবে৷ ঐ কোম্পানিই টাকা খরচ করে কাজটি সম্পাদন করবে৷ পরবর্তীতে সরকার ঐ টাকাটা পরিশোধ করবে৷
ইংরেজি দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন' এর এক প্রতিবেদন বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়সীমা এখন পর্যন্ত দুবার পেছানো হয়েছে৷ প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুনে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল৷ পরে সেটা এক দফায় বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন করা হয়৷ এরপর এখন আশা করা হচ্ছে ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে৷
সরকার বলছে, দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারবে৷ এছাড়া এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেয়া সম্ভব হবে৷ এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে৷
বঙ্গবন্ধু কৃত্রিম উপগ্রহে ট্রান্সপন্ডার থাকবে ৪০টি৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ ১২টি ব্যবহার করবে৷ বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে৷ এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছে সরকার৷
উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুরে জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন' নির্মাণ করে হবে৷ স্যাটেলাইটটি একবার উৎক্ষেপণ হয়ে যাওয়ার পর সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি কোম্পানি চালু করবে সরকার৷