তিন ক্রিকেটারকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ
৫ নভেম্বর ২০১১পিসিবি'র সভাপতি হিসেবে গত মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাকা আশরাফ৷ শনিবার লাহোরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, পাতানো খেলার পুরো ঘটনা পিসিবি নিজে তদন্ত করবে৷ তবে তার আগে যুক্তরাজ্যের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের মামলা এবং রায় সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদনের জন্য তারা অপেক্ষায় রয়েছে৷ আশরাফ বলেন, ‘‘পাতানো ম্যাচের যে কেলেঙ্কারি পাকিস্তানের ক্রিকেটের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে সেই ঘটনার জন্য কাদের অবহেলা দায়ী তা আমরা খতিয়ে দেখবো৷ এই ঘটনা যখন ঘটে তখন ক্রিকেট দলের সাথে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তারাও ছিলেন৷ তবুও কীভাবে তা ঘটল তা আমরা জানতে চাই৷''
সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমের এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিষদ আইসিসি'র উদ্যোগে তদন্তের ব্যাপারে পাকিস্তানের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে একটি চিঠি দেওয়ার কথাও ব্যক্ত করেন আশরাফ৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘দুর্নীতি কিংবা পাতানো খেলার সাথে যারা জড়িত পিসিবি কখনও তাদের পক্ষে দাঁড়াবে না৷ তবে আমরা আইসিসি'কে নিশ্চিত করতে চাই যে, তাদের পক্ষ থেকে এর তদন্ত করা হলে আমরা সহযোগিতা করবো৷'' এছাড়া ক্রিকেট জগতে দুর্নীতি ও পাতানো খেলাকে ফৌজদারি আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে একটি সংসদীয় বিল উত্থাপনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন জাকা আশরাফ৷
এদিকে, দণ্ডপ্রাপ্ত তিন ক্রিকেটারকে পাকিস্তানে ফেরত আনার ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের কথা জানালেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক৷ তিনি বলেন, ‘‘তিন খেলোয়াড়কে দেশে আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার৷ আমরা ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাই কমিশনার ওয়াজিদ শামসুল হাসানকে অনুরোধ করেছি তাদেরকে প্রয়োজনীয় আইনি সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এবং এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে তাঁকে৷''
মালিক আরো বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক৷ সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখতে সরকার একটি বিশেষ পরিষদ গঠন করবে এবং খেলোয়াড়দেরকে অসহায়ভাবে একাকী ছেড়ে দেওয়া হবে না৷'' ব্রিটিশ আদালতের দেওয়া সাম্প্রতিক রায় এবং আইসিসি'র প্রাথমিক শুনানির পরও খেলোয়াড়দের মধ্যে যে কেউ নির্দোষ হতে পারেন এমন সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন রেহমান মালিক৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম