1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবান বন্দী

১৪ আগস্ট ২০১২

আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে তালেবান বন্দিদের হস্তান্তর নিয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি৷

https://p.dw.com/p/15pM2
James B. cunningham, Stellvertreter der USA Botschafter in Kabul zu sehen. DW/Hosain Sirat, in Kabul am 11.04.2012
ছবি: DW

গত কয়েক মাস ধরে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে তালেবান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে৷ তবে এখন পর্যন্ত তাতে তেমন কোনো সফলতা আসেনি৷ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তালেবান নেতৃবৃন্দকে আলোচনায় উপস্থিত করাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে৷ সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই মাসের শুরুতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছিল যে গুয়ান্তানামো কারাগারে বন্দি পাঁচজন তালেবান নেতাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে৷ তবে সেই মুক্তিদান কাতারে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয় সে সময়৷

তবে কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস কানিংহাম সেরকম কোনো সম্ভাবনার কথা জানালেন না৷ গত সোমবার সাবেক রাষ্ট্রদূত রায়ান ক্রোকারের জায়গায় দায়িত্ব নেন এই কূটনীতিক৷ এরপর তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন৷ তালেবান নেতাদের মুক্তিদানের বিষয়ে তিনি জানান, তারা এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি৷

FILE - In this July 16, 2009 file photo, reviewed by the U.S. military, flags hang above the sign marking the Camp Justice compound, the site of the U.S. war crimes tribunal, at Guantanamo Bay U.S. Naval Base, Cuba, . (ddp images/AP Photo/Brennan Linsley, File) ** zu unserem KORR. **
কুখ্যাত গুয়ান্তানামো কারাগারছবি: AP

তবে এই শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিলেন একসময় ইসরায়েলে দায়িত্ব পালন করা জেমস কানিংহাম৷ তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে স্পষ্টতই পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে৷ তিনি জানান, তালেবান এবং আফগানিস্তানের বিভিন্ন মহলে এখন যোগাযোগ চলছে৷

এদিকে পাকিস্তানে আটক তালেবান নেতার মুক্তির বিষয়টি নিয়েও বেশ আলোচনা হচ্ছে৷ দিন কয়েক আগে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রানগিন স্পান্তা জানান, তালেবান কমান্ডার মুল্লাহ আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে দেখা করেছেন আফগানিস্তানের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল৷ পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকও জানিয়েছিলেন যে, আফগান কর্মকর্তাদের বারাদারের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তবে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসলামাবাদে অবস্থিত আফগান দূতাবাস এই খবর অস্বীকার করেছে৷ মঙ্গলবার তারা জানায়, এই ধরণের কোনো সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়নি৷ তবে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, আফগান কর্মকর্তারা দেখা করতে না পারলেও তাঁদের দেওয়া বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তালেবান কমান্ডার আবদুল গনি বারাদারের কাছে৷

আরআই / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য